মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ৩৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর পৌর প্রশাসকের উদ্যোগটি সফল হোক

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুর পৌর প্রশাসকের উদ্যোগটি সফল হোক

আমাদের দেশে কোনো ভালো কাজের ধারাবাহিকতা আমলা ও জনপ্রতিনিধিরা খুব কমই রক্ষা করেন। তারা নতুনত্ব দেখাতে 'গিনিপিগ টেস্ট' করতে বেশ আগ্রহী। চাঁদপুরকে 'ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর' নামে ব্র্যান্ডিং করে ২০১৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সারাদেশে কী হৈচৈই না ফেলে দিয়েছিলেন! রাজধানীতে ব্র্যান্ডিং ফেস্টিভ্যাল করে কী সাড়াই না জাগিয়েছিলেন!! কিন্তু দুঃখজনক হলো, পরবর্তী জেলা প্রশাসকগণ চাঁদপুরকে নিয়ে ব্র্যান্ডিং কাজের ধারাবাহিকতা আর রক্ষা করেন নি।চাঁদপুর পৌরসভায় আশির দশকে এক প্রশাসক দায়িত্বে এসে চাঁদপুর শহরের চৌধুরী ঘাট সংলগ্ন বর্তমান ঈদগাহকে সুশোভিত পার্কে পরিণত করতে পৌরবাসীর ট্যাক্সের টাকার কী শ্রাদ্ধই না করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী প্রশাসক এসে এই পার্কটিকে টেকসই করার কাজে মনোযোগ না দিয়ে বাসস্ট্যান্ডস্থ পৌর কবরস্থানের উন্নয়নে অনেক মনোযোগী হলেন। যেটি টেকসই হয়েছে এবং পরবর্তী জনপ্রতিনিধিরা বিশেষ করে সাবেক মেয়র নাসিরউদ্দিন আহমেদ এই কবরস্থানকে বর্ধিত ও অবকাঠামোগত উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে সমৃদ্ধ করেছেন। অপরদিকে পৌর পার্কটির প্রতি কেউ নজর না দেয়ায় সেটি নামে পার্ক থাকলেও বাস্তবে বছরের দুটি ঈদের নামাজ আদায়, মৃতদের জানাজার নামাজ আদায় এবং ট্রাক, পিকআপসহ অন্যান্য যানবাহন পার্কিং ও কারো কারো সুবিধাজনক দখলদারিত্বের মোক্ষম স্থানে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষিতে মেয়র অপসারিত হয়ে আবার প্রশাসক এসেছেন। তিনি পৌর পার্ক নয়, পৌর শিশু পার্কের উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছেন এবং পরিবেশ উন্নয়নে করণীয় সম্পাদনের জন্যে কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক ও জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক একরামুল ছিদ্দিকের উদ্যোগে চাঁদপুর শহরের জলাধার সংরক্ষণের লক্ষ্যে ময়লা, আবর্জনা, কচুরিপানা অপসারণ করে মজা পুকুর ও খালগুলোকে সচল করার কাজ শুরু হয়েছে। পৌর প্রশাসক তাঁর ফেসবুক পেইজে জানান, দয়া করে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। এই শহরটাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। যে কোনো ধরনের ময়লা, আবর্জনা, নালা-নর্দমা সঠিকভাবে পরিষ্কার করা না হলে পৌরসভার কনভারজেন্সী ইন্সপেক্টর (০১৮১৯১৪০২৩৪)কে জানান। প্রতিকার না পেলে আপনার পৌর প্রশাসক (০১৭৩০০৬৭০৫৩)কে জানান। নান্দনিক চাঁদপুর শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

আমরা পৌর প্রশাসকের এ উদ্যোগটিকে চাঁদপুর শহরের পরিবেশ উন্নয়ন ও নান্দনিক করার ক্ষেত্রে সময়োপযোগী বলে মনে করছি। এটির সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করে এটিকে টেকসই করার জন্যে আরো কী কী করা যায় সে ব্যাপারে পৌর প্রশাসক মহোদয়কে নাগরিক ভাবনা আহরণের প্রয়াস চালাবার আহ্বান জানাচ্ছি। নাগরিক ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি নিতে পারেন চাঁদপুর পৌরসভার নিজস্ব আয়ে ব্যয় মিটানোর মতো কিছু পদক্ষেপ। উচ্চাভিলাষী ও অধিক বাজেটের কোনো পদক্ষেপ নিয়ে পরবর্তী প্রশাসক বা মেয়রকে কোনো নেতিবাচক ভাবনায় ভারাক্রান্ত না করার দূরদর্শী চিন্তার বিষয়টি রাখতে হবে মাথায়। এই শহরের নাগরিক-যন্ত্রণা হচ্ছে যানজট ও ময়লা-আবর্জনার অসৌন্দর্য। এ দুটি সহ আরো কিছু বিষয়ের টেকসই সমাধানে প্রশাসক মহোদয়সহ পৌর কর্মকর্তাগণকে ফলপ্রসূ কিছু করার বিষয় ভেবে দেখতেই হবে। গতানুগতিকতা পরিহার করে উদ্ভাবনী চিন্তা-চেতনায় নিজেদের সমৃদ্ধ করে পৌরবাসীকে দিতে হবে তার সুফল। আমাদের বিশ্বাস, পৌর প্রশাসক সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে এ ক্ষেত্রে সফল হবেন। আমাদের পর্যবেক্ষণে তিনি পৌর প্রশাসকের দায়িত্বটি অতিরিক্ত হিসেবে পালন করলেও তাঁর নিবিষ্টতা ও আন্তরিকতা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়