মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১, ৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

ঔদার্য ও শুভ মানসিকতার সঞ্চার হোক সর্বত্র

অনলাইন ডেস্ক

৪ আগস্ট ছিলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের একটি অগ্নিগর্ভ দিন। বিকেল প্রায় তিনটা পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের পরিস্থিতি ছিলো শাসক দল ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। তারপর চাঁদপুর শহরসহ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি এবং আরো কিছু স্থান ছাত্র-জনতার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। আর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়ের দিনে, বিশেষ করে বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চাঁদপুর শহরে কিছু সুযোগ সন্ধানী কিংবা দুর্বৃত্ত বিভিন্ন স্থাপনা, বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এমনকি ব্যক্তিবিশেষকে মারধর করাসহ আরো বড়ো ধরনের পরিকল্পনা করে। বিষয়টি বিভিন্নভাবে জানতে পেরে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক তাঁর পুড়ে যাওয়া বাসভবনে বসে এমন অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সক্রিয় উদ্যোগ নেন। নিজের জেদ ও প্রতিশোধপরায়ণতা থেকে বেরিয়ে এসে তিনি সর্বোচ্চ সংযত থেকে অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি এড়ানোর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। এছাড়া মাইকিং করান। আর নিজে মাঠে নেমে পথসভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, চাঁদপুরের একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাসা-বাড়ি, মন্দিরে একটি ফুলের টোকা দিলেও কাউকে এক বিন্দু ছাড় দেয়া হবে না। ব্যবসায়ীরা নিশ্চিন্তে নির্দ্বিধায় দোকান খুলবেন এবং ব্যবসা পরিচালনা করবেন। তিনি বলেন, কতিপয় কিশোর গ্যাং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে দলে ঢুকে কোথাও কোথাও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, যারা এ ধরনের তৎপরতায় সম্পৃক্ত তাদের দায়ভার দল নেবে না। বরং এদেরকে ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ সকলকে একযোগে আগামী একমাস ওয়ার্ডভিত্তিক কাজ করার আহ্বান জানান।

হাজীগঞ্জ উপজেলা সদরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে ৪, ৫ ও ৬ আগস্ট জুড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে এগিয়ে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি উপজেলা বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক ইঞ্জিনীয়ার মমিনুল হক। তিনি এক সমাবেশে বলেন, যদি কেউ বিএনপির নেতা-কর্মীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে জানাবেন। প্রয়োজন মনে করলে নিঃসঙ্কোচে তাদের নামণ্ডঠিকানা আমাকে দেবেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। তিনি সমাবেশ শেষে উপজেলা পরিষদ ও হাজীগঞ্জ থানাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সম্পদ, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সংখ্যালঘু পরিবার এবং হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয় কাঠামো অর্থাৎ সরকার গঠন ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে পাহারা দেয়ার জন্যে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন। তিনি গত সোমবার রাতে হাজীগঞ্জ থানা ও বাজার পাহারা দেয়ার জন্যে নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।

চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনীয়ার মমিনুল হকের ঔদার্য ও শুভ মানসিকতা নিঃসন্দেহে প্রশংসাব্যঞ্জক। এমনটি দেশের অন্যান্য অনেক স্থানেও দেখা গেছে। জামাত ও শিবিরসহ অন্যান্য ইসলামী দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা এমন ঔদার্য ও শুভ মানসিকতার পরিচয় দিতে গিয়ে মন্দিরসহ সংখ্যালঘুদের অন্যান্য স্থাপনায় দিন-রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছেন, যেটা প্রকৃত অর্থে ইসলামী আদর্শের মাহাত্ম্য বা সৌন্দর্যকে উদ্ভাসিত করেছে। আমরা এমন শুভ মানসিকতা ও ঔদার্য দেশের সর্বত্র সঞ্চারিত হোক সে প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়