শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২১, ০০:০০

শামসুননাহার রাব্বীর মৃত্যুতে শোক
অনলাইন ডেস্ক

বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় শ্রদ্ধা-সমীহের সাথে যে ক’জন নারীর নাম উচ্চারিত হয়, তাঁদের মধ্যে শামসুননাহার রাব্বী ছিলেন অন্যতম। তিনি ২৫ জুন ২০২১ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, তিন মেয়ে, দুই নাতনি ও সাত নাতিসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণীজন রেখে গেছেন। মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দেশের অন্যতম প্রাচীন সংবাদপত্র, কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আমোদের উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে কুমিল্লায় সাংবাদিকতার পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছিলেন। তাঁর একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি কুমিল্লার বহুবিধ সামাজিক কাজের সাথে জড়িত থেকেছেন এবং সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।

শুধু বৃহত্তর কুমিল্লা নয়, বাংলাদেশের কিংবদন্তীতুল্য একজন সাংবাদিক, সাপ্তাহিক আমোদের সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বীর সুযোগ্য সহধর্মিণী ছিলেন শামসুননাহার রাব্বী। বস্তুনিষ্ঠতা তো বটেই, সাংবাদিকতায় অনুসৃত সর্বোচ্চ নৈতিকতা অক্ষুণ্ণ রেখে সাপ্তাহিক আমোদকে আঞ্চলিক সংবাদপত্র হিসেবেই ফজলে রাব্বী নিরবচ্ছিন্ন প্রকাশনায় দেশের বহুল আলোচিত সংবাদপত্রে পরিণত করেছিলেন। উদীয়মান সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের জন্যে সাপ্তাহিক আমোদ মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সুদীর্ঘ কাল ধরে। ৬৭ বছরেও আমোদ নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। ১৯৫৫ সালের ৫মে সাপ্তাহিক আমোদ প্রকাশের ৩৯ বছর ৬ মাস ২৩ দিনের মাথায় সম্পাদক মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ইন্তেকাল করলেও তাঁর সহধর্মিণী ও বিশ^স্ত সহকর্মী হিসেবে শামসুননাহার রাব্বী তাঁদের একমাত্র পুত্র বাকীন রাব্বীসহ আমোদের প্রকাশনা অব্যাহত রাখেন। উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে শামসুননাহার রাব্বী সম্পাদক হিসেবে বাকীন রাব্বীকে দিয়ে দেশে-বিদেশে যেখানেই অবস্থান করেন নি কেনো, আমোদকে প্রকাশের আলো থেকে বঞ্চিত করেন নি। এখানেই ছিলো তাঁর সবচে’ বড় সার্থকতা।

আমাদের দেশে বিভিন্ন সংবাদপত্র, টিভি, অনলাইন মিডিয়াসহ সকল গণমাধ্যমের সম্পাদক/প্রকাশকদের স্বামী/স্ত্রী, সন্তানরা সাধারণত সাংবাদিকতা পেশায় জড়াতে চান না। কারণ, এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। শামসুননাহার রাব্বী এক্ষেত্রে ছিলেন শুধু অসাধারণ নয়, সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। তিনি একমাত্র পুত্র বাকীন রাব্বীকে গড়ে তুলেছেন স্বামীর আদর্শে এবং সেজন্যে তাঁকে সাংবাদিকতা পেশায় আপাদমস্তক জড়িত হতে প্রণোদনা দিয়ে সাফল্য অর্জন করেন। তিনি বাকীন রাব্বীকে তাঁর স্বামীর ‘কাগজের নৌকা’ সাপ্তাহিক আমোদের হাল ধরাতে সক্ষম হন। এ বিবেচনায় শামসুননাহার রাব্বী ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পাবেন অমরত্বের মর্যাদায়। আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়