সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

চাঁদপুর সেতুর টোল বাতিল হোক

চাঁদপুর সেতুর টোল বাতিল হোক
অনলাইন ডেস্ক

গত ১৬ আগস্ট সোমবার চাঁদপুর জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত ‘চাঁদপুর সেতু’র টোল বাতিলের বিষয়টি জোরালোভাবে উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এ সময় সড়ক ও জনপথ (সওজ), চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, তিন বছরের জন্যে সেতুটির টোল আদায়ে ৮ কোটি ৮ লাখ টাকা ইজারা দেয়া হয়ে গেছে। এমন তথ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের গণদাবি, এই টোল প্রথা উঠে যাক। ইজারা প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে এ সেতুটির টোল বাতিল করা যাবে না, তা কিন্তু নয়। এ ব্যাপারে সচিব মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি গণদাবির অনুকূলে জনপ্রতিনিধিদের ডিও লেটারসহ আবেদন করার কথা বলেছেন এবং সে আবেদন বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

২৪৮ মিটার দীর্ঘ চাঁদপুর সেতুটি ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৪ সালে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এরপর এ সেতুর ওপর দিয়ে টোল প্রদানের মাধ্যমে চলছে বিভিন্ন যানবাহন। ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকাশিত এক সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১৪ বছরে টোল আদায়ের জন্যে ইজারা দিয়ে সেতুটি থেকে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করেছে সরকার। গত দু বছরে আরো ৫ কোটি টাকা আদায় যে হয়েছে, সেটি আন্দাজ করা যায়। সেতু নির্মাণে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, সরকার তার দ্বিগুণেরও বেশি টোল বাবদ আদায় করে কেনো স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ সেতুটির টোল প্রত্যাহার করছে না, সেটা কারোই বোধগম্য নয়।

‘চাঁদপুর সেতু’র অতিরিক্ত টোল আদায় নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে ফরিদগঞ্জ উপজেলাসহ সন্নিহিত উপজেলাগুলোর বাসিন্দাদের মনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ সেতু থেকে টোল প্রত্যাহারের জন্যে মানববন্ধন হয়েছে, স্মারকলিপি পেশ হয়েছে। স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে এ সেতুটি নিয়ে বহুবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যাতে টোল প্রত্যাহারের জোরালো দাবি তুলে ধরা হয়েছে। এ সেতুর টোল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সদ্য সাবেক এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। কিন্তু আশ্চর্য, এতে কারো টনক নড়েনি। টোল প্রত্যাহার হয়নি। সেজন্যে একজন এমপির মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে এমন বক্তব্যকে অনেকে ‘অরণ্যে রোদন’ বলে পরিহাস করেছেন।

‘চাঁদপুর সেতু’র কাছাকাছি সময়ে নির্মিত ‘হাজীগঞ্জ সেতু’ এবং চাঁদপুর শহরের নূতনবাজার-পুরাণবাজার সংযোগ সেতুর টোল আদায় বন্ধ হয়ে গেছে সেই কবে। অথচ ‘চাঁদপুর সেতু’র টোল আদায় চলছে তো চলছেই। এটা কেন? এ ব্যাপারে সওজ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সুস্পষ্ট বক্তব্য দাবি করছি। সাথে সাথে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের উদ্যোগে এই সেতুর টোল বাতিলের আন্তরিক প্রয়াসের আশু সাফল্য কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়