সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪০

শুধু দায়িত্বে অব্যাহতি নয়, আরো বড়ো শাস্তি প্রয়োজন

অনলাইন ডেস্ক
শুধু দায়িত্বে অব্যাহতি নয়, আরো বড়ো শাস্তি প্রয়োজন

‘শাহরাস্তিতে বাউবি পরীক্ষা কেন্দ্রে বড় ধরনের অনিয়ম!’ শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রিন্টিং সংস্করণে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যার বিবরণী হচ্ছে : বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অনিয়মের সংবাদ পেয়ে কেন্দ্রে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার। শুক্রবার (১১ এপ্রিল ২০২৫) বিকেলে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি চোখে পড়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মিয়ার। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপম মজুমদার কেন্দ্রে হাজির হন। তিনি দু ঘন্টা উপস্থিত থাকার পর বিকেল ৫টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা কেন্দ্রে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত শেষে রাত সোয়া ৭টায় বেরিয়ে আসেন। এ সময় সংবাদ কর্মীরা তাঁদের কাছে জানতে চাইলে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই তাঁরা চলে যান। দুজন পরীক্ষার্থী জানায়, এ পরীক্ষায় ২৭জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কিন্তু উপস্থিতির জায়গায় ৩০জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর থাকার বিষয়টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নজরে আসে। পরীক্ষা শেষে ফরহাদ নামে এক শিক্ষার্থীর কাছে সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে তার আইডি কার্ডের সাথে ছবির মিল না পাওয়ায় সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২৭জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও হাজিরা খাতায় ৩০জনের স্বাক্ষর দেখে বিষয়টি সন্দেহ হয়। কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর মিলিয়ে গরমিল পাওয়া যায়। এছাড়া তিনি আরো জানান, সকাল বেলার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় ৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও উত্তরপত্র পাওয়া যায় ৩৫টি। জানা যায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন অফিস সহকারী নারায়ণ চন্দ্র দাস। এ ঘটনার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানার নিকট জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে কেন্দ্র সচিবের কাছ থেকে জেনে নেয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে কেন্দ্র সচিব শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ঈমান হোসেন সাংবাদিকদের বক্তব্য না দিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়েন। এলাকাবাসী অনেকেই জানান, একটি চক্র প্রতিবছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অনিয়ম করে আসছে।ল বিপুল অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করেই বাইরে খাতা নিয়ে পরীক্ষা শেষে জমা দেয়ার গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে গতকাল সকালে চাঁদপুর কণ্ঠের অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, শাহরাস্তি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে অনিয়ম পাওয়ায় দায়িত্বে নিয়োজিত সকলকে অব্যাহতি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা। শুক্রবার রাতে তিনি জানান, এ বিষয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

শুধু অব্যাহতিতেই শাহরাস্তি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে সংঘটিত অনিয়মের জন্যে দায়িত্বশীলদের যথার্থ শায়েস্তা হবে না। এদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কেননা এই কেন্দ্রে এমন বড়ো অনিয়ম শুধু শুক্রবারই সংঘটিত হয়েছে-এমনটি ভাবার অবকাশ নেই। দীর্ঘদিন ধরেই এই কেন্দ্রে প্রক্সি পরীক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো, নিকটবর্তী স্থান থেকে খাতা লিখে এনে জমা দেয়াসহ নানা অনিয়মের চর্চা চলে আসছে বলে ধারণা করা যায়। এখন দেখার বিষয়, এই কেন্দ্রে চর্চিত অনিয়মকে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজের কোনো কিছু অবলম্বন করা হয়েছে কিনা। আমরা উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহরাস্তি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের অনিয়ম তদন্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়