বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১২

তারপরও বর্ষবরণে স্বতঃস্ফূর্ততা ও সার্বজনীনতা!

অনলাইন ডেস্ক
তারপরও বর্ষবরণে স্বতঃস্ফূর্ততা ও সার্বজনীনতা!

১৪৩২ বঙ্গাব্দ তথা বাংলা নববর্ষ বরণের প্রাক্কালে ফ্যাসিস্টের মোটিফে অগ্নিসংযোগ সহ দেশের কিছু স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় এবার পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ নিয়ে সাধারণ্যে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন নিয়েও কম-বেশি বিতর্ক সৃষ্টি হয়। কেননা এই নামেই এটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছিলো। এর বাইরে ধর্মীয় নেতাদের পূর্ববর্তী কিছু হুঙ্কার, যেমন ‘পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে যারা নূতন পাঞ্জাবি বানাবি, তারা হবি জাহান্নামি’, আবার পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে যারা মুসলমানদেরকে মুশরিকি কর্মকাণ্ডে জড়ানোর চেষ্টা করবে, তাদেরকে প্রতিহত করতে মাঠে নামতে হবে ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুনে এবার অনেকে বড়ো ধরনের কিছু ঘটার আশঙ্কা করেছিলো। কারণ, ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ধর্মীয় নেতাদের তৎপরতা পূর্বের চেয়ে অনেক অনেক বেশি জোরদার ছিলো।

এবার পয়লা বৈশাখে দেশের সর্বত্র সাধারণ্যে দেখা গেলো অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ততা। শান্তিপূর্ণভাবে রাজধানীতে রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা ব্যাপক অংশগ্রহণে সম্পন্ন হয়। এই শোভাযাত্রায় দানবরূপে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মোটিফ, মুগ্ধের পানির বোতলের বিরাট প্রতিকৃতি সহ জুলাই বিপ্লবের স্মারক ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের ব্যবস্থাসহ আরো অনেক কিছুই ছিলো, যার ফলে শোভাযাত্রাটি পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় অনেক বড়ো হয়েছে এবং ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। আর দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বাংলা বর্ষবরণে সরকারি প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচিতে দলমত, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। সর্বোপরি দেশের বৃহত্তম দল বিএনপির তিনদিনব্যাপী বর্ষবরণ কর্মসূচি এবারকার বর্ষবরণকে দিয়েছে বাড়তি মাত্রা।

সকল কিছুর ঊর্ধ্বে ভালো লাগা ও স্বস্তির বিষয় এই যে, এবার বাংলা বর্ষবরণ পূর্ববর্তী বছরগুলোর চেয়ে অনেক আনন্দঘন পরিবেশে উৎসবমুখরতায় সম্পন্ন হয়েছে। বর্ষবরণ যে ধর্মীয় বিতর্ক উত্থাপন সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটা সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতায় উপনীত হয়ে আছে, সেটা বিগত দিনে প্রতিবছর পয়লা বৈশাখ আসলে যতোটুকু বোঝা গেছে, এবার যেনো তারচে’ বেশি বোঝা গেছে। ফলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পরিকল্পনাকারীদের জন্যে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ছিলো চ্যালেঞ্জিং-এমনটি ভাবা যায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়