সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০

এদের পাশে দাঁড়ানো দরকার

এদের পাশে দাঁড়ানো দরকার
অনলাইন ডেস্ক

গতকাল রোববার চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় একটি সংবাদ কম-বেশি অনেক পাঠকের দৃষ্টি কেড়েছে। সে সংবাদটির শিরোনাম হয়েছে ‘স্টুডিও মালিক-কর্মচারীদের মানবেতর জীবনযাপন ॥ মিলেনি কোনো সহযোগিতা’। এ সংবাদের গর্ভে প্রতিবেদক বিমল চৌধুরী লিখেছেন, করোনার কারণে দীর্ঘ ১৬ মাস স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন অফিস-আদালত। ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। ফলে সব কিছুর উপরই নেমে এসেছে একটা স্থবিরতা। আর এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্টুডিও শিল্পের সাথে জড়িত শত শত কর্মী। যার ফলস্বরূপ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে এই পেশার সাথে জড়িতদের। তারা লকডাউন ব্যতীত নিয়মিত স্টুডিও খুললেও দেখা মিলছে না পূর্বের ন্যায় কাস্টমারের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছবি তোলার জন্যে স্টুডিওতে ভিড় করছে না কোনো ছাত্র-ছাত্রীও। সখ করেও এখন আর আগের মতো অনেকেই স্টুডিওতে আসছে না ছবি তোলার জন্যে। ফলে অনেকটাই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন স্টুডিওর সাথে সংশ্লিষ্ট মালিক-কর্মচারী সকলে। তাদের অবস্থা এখন এমন পর্যায়ে রয়েছে, তারা না পারছে সইতে, না পারছে কইতে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনের মধ্য দিয়েই তাদের দিন কাটছে নীরবে-নিভৃতে। তাদের দুঃখ-দুর্দশা, হতাশার কথা কেউ কেউ জানতে চায়নি বা জানার চেষ্টাও করেনি বলে আক্ষেপ করেছেন স্টুডিও মালিকরা। তারা বলেছেন, মহামারি করোনা সবই স্তব্ধ করে দিয়েছে। ফলে আমরা হয়ে পড়েছি দিশেহারা। একদিকে কর্মচারী, অন্যদিকে সংসার। কী করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য পেশাজীবীর পাশে দাঁড়ালেও তাদের পাশে না দাঁড়ানোর কারণে তারা খুব হতাশ। তাদের প্রত্যাশা, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে চাঁদপুরের সম্মানীয় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তাদের পাশে কাক্সিক্ষত সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসবেন।

বলা দরকার, এক সময় রমরমা ব্যবসার মধ্যে স্টুডিও ব্যবসা ছিলো অন্যতম। চাঁদপুরে ‘শাপলা স্টুডিও’ নামে একটি স্টুডিও তাদের ব্যবসায় এতোটা প্রসিদ্ধি অর্জন করেছিলো যে, চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে এসবি খালের ওপর অবস্থিত পুলের পশ্চিম পাড় (রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের পূর্ব প্রান্তের উল্টো দিকে উত্তর পাশর্^স্থ চৌধুরী পাড়ার প্রবেশ মুখ) ‘শাপলা স্টুডিও’ এলাকা হিসেবে অনেক বেশি পরিচিতি অর্জন করেছিলো। যার ফলে রিকশার ড্রাইভারকে যাত্রীরা ‘শাপলা স্টুডিও যাবো’ বলতে হতো। আজ সেই শাপলা স্টুডিও সেখান থেকে এসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখে ক’বছর থাকার পর এখন চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের সম্মুখে একেবারে ছোট পরিসরে স্থানান্তরিত হয়েছে। এ থেকেই আন্দাজ করা যায় স্টুডিও ব্যবসা কোন্ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।

শুধু করোনার কারণে স্টুডিও ব্যবসায় ধস নেমেছে এমনটি বলা যাবে না। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন সেটে বিদ্যমান ক্যামেরা দিয়ে স্টিল (স্থির) ছবি ও ভিডিও করা সম্ভব হওয়ায় এখন সাধারণত অনেকেই স্টুডিওতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা ছবি প্রিন্ট করার প্রয়োজনে বিভিন্ন কালার ল্যাবেই যায়। জরুরি প্রয়োজনে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে প্রিন্টার দিয়ে ফটো পেপারে ছবি প্রিন্ট করে নেয়। মানুষের ব্যস্ততা বাড়ায় স্টুডিওতে গিয়ে আগের মতো ভিড় জমাচ্ছে না। তবুও যারা দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্যে এবং গুণগত মানের ছবি তোলার জন্যে স্টুডিতে যেতো, তারা চলমান করোনাকালে স্টুডিও থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেজন্যে স্টুডিওর সাথে সংশ্লিষ্টরা তাদের জীবনের খুবই খারাপ সময় অতিবাহিত করছে। এমতাবস্থায় শুধু প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসকই নয়, সম্ভব হলে অন্যদেরও তাদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। স্টুডিও ব্যবসায়ীরা তাদের স্টুডিওতে কম্পিউটার, ফটোকপির সংযোজন করে ব্যবসাকে আপডেট করাও দরকার বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়