বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০

ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি আর কতদিন?
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর কণ্ঠের কচুয়া ব্যুরো ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন একটি সচিত্র সংবাদ পরিবেশন করেছেন গত বুধবার, যেটি প্রথম পৃষ্ঠায় বিশেষ গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়েছে। সংবাদটির শিরোনাম হয়েছে ‘ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে তিন উপজেলাবাসীর চলাচল’। এ সংবাদে ব্রিজটি নিয়ে যা লিখা হয়েছে, সেটি পড়ে ব্রিজটির জরাজীর্ণতা ও ঝুঁকি সম্পর্কে যতোটা ধারণা অর্জন করা যায়, তারচে’ বেশি ধারণা অর্জন করা যায় ছবির দিকে এক নজর তাকালেই। অথচ এ ব্রিজটির দিকে ইতোমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এক নজর নয়, বহু নজর তাকিয়েও হয়তো সুস্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে পারেননি। ফলে ব্র্রিজটির স্থলে নূতন ব্রিজ আর নির্মিত হয়নি। এমতাবস্থায় বহু জোড়াতালি দেয়া ব্রিজটি কচুয়া, হাজীগঞ্জ ও মতলব উপজেলার অধিক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল রঘুনাথপুর বাজার সংলগ্ন বোয়ালজুরি খালটি পারাপার হতে হচ্ছে ২০ গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ ও এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। প্রায় ৮৫ ফুট দীর্ঘ ও প্রায় ৬০ ফুট উঁচু ব্রিজের দুপাশের অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন কাঠ দিয়ে মেরামত করে মোটামুটি চলাচল উপযোগী করে দেয়। ব্রিজের দুপাশে রেলিং না থাকায় প্রায়শই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা ও বয়স্ক লোকজন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।

গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটির স্থলে নূতন ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাদলা ইউনিয়ন সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমও অংশ নেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা দ্রুত ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোতাছেম বিল্যাহ জানান, ব্রিজটি সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা প্রদান করেছি।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, কচুয়া উপজেলায় যুগান্তকারী উন্নয়নের জন্যে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি অবিস্মরণীয় একটি নাম। মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার স্মৃতি বিজড়িত প্রসিদ্ধ রঘুনাথপুর বাজারে এক সময় কচুয়া উপজেলা সদর থেকে যানবাহন নিয়ে সড়কযোগে সরাসরি যাতায়াত করা যেতো না। ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের প্রচেষ্টায় কচুয়া ও রঘুনাথপুরের মধ্যবর্তী সকল ব্রিজ পাকা হওয়ার পর এখন যাতায়াত সুগম হয়েছে। অথচ বাজারসংলগ্ন বোয়ালজুরি খালের ওপর শত বছরেরও বেশি পুরানো ব্রিজটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে নূতন ব্রিজ নির্মাণ না হবার বিষয়টি অনেকের কাছে কম-বেশি বিস্ময়কর ঠেকেছে। তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি এ ব্রিজটি এমপি মহোদয়ের নজরে আনেননি, না কচুয়া ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় কোনো এমপিই তাদের গোচরীভূত হবার পরও ব্রিজটি নির্মাণে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন এমন প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক। আশা করি উক্ত নূতন ব্রিজ নির্মাণে কচুয়ার এমপি আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এবং সে উদ্যোগ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল মহলে তাগিদ অব্যাহত রাখবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়