মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১৬:০৮

মসজিদের সামনে ফেলে গেলেন মা, নিয়ে গেলেন বাবা

কামরুজ্জামান টুটুল
মসজিদের সামনে ফেলে গেলেন মা,  নিয়ে গেলেন বাবা

জরুরীসেবা ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা আজ্ঞাত মেয়ে শিশুকে (২) উদ্ধার করে  মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে।  হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সামনে থেকে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের কাছে রাখে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী মোমেনা আক্তার শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তার বাবা রাজমিস্ত্রী আজাদ হোসেনের কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেন। শিশুটির বাড়ি হাজীগঞ্জের সীমান্তবর্তী গ্রাম লক্ষিপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার জয়পুরা গ্রামের পুরানবাড়ি। তবে শিশুটি  শাহরাস্তি উপজেলার পাথৈই গ্রামের মায়ের সাথে নানার বাড়িতে থাকতো। আয়েশা সিদ্দিকা নামের হতভাগ্য শিশুটির মায়ের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস মিতু। শিশুটিকে উদ্ধারের বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর কন্ঠের অনলাইনে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

উপজেলা ই-সেন্টারে শিশুটিকে বাবার কাছে হস্তান্তরকালে আরো উপস্থিত ছিলেন দাদা, নানী ও শিশুটির দাদা ও নানার এলাকার ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও শিল্পী বেগম।

 শিশুটিরর বাবা আজাদ হোসেন জানান, চার বছর আগে তার সাথে মোবাইলের প্রেম হয় মিতুর। এক বছর প্রেমের  পর বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের এক বছর পর তাদের সংসারে জন্ম নেয় আয়েশা। কি কারনে আয়শাকে মসজিদের সামনে রেখে যায় তার মা তা আমি জানিনা,তবে এ বিষয়ে আমি আইনী ব্যবস্থা নেবো।

 আজাদ হোসেন আরো জানান, গত ৫/৬ মাস ধরে তাদের স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ার কারনে  স্ত্রী মিতু শাহরাস্তি বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার থেকে মিতুর মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।  গত  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী আমাকে জানায়, বিভিন্ন পত্রিকায় ও  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার মেয়ের ছবি দেখতো পায় ও মেয়েটি হাজীগঞ্জ থানায় রয়েছে। এর পরেই আমি মেয়েকে পাওয়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করি।

হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক প্রভাকর বড়ুয়া জানান,  শিশুকে তার পরিবারের কাছে তুলে দিতে পেরে  আমরা আনন্দিত।

 হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বলেন, সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ আমরা শিশুটিকে  চট্টগ্রামের ছোটমনি নিবাসে পাঠানোর সকল প্রস্তুতি নেয়ার পর তার পরিবারের সন্ধান পাই। পরে হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদের  তদন্ত শেষে শিশুর পরিবারের পরিচয় নিশ্চিত হলে শিশুটির বাবার কাছে শিশুটিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়