প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২১, ২০:৫৬
মধুর উপকারিতা
মধু মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসাতেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। এটা যেমন বলকারক, সুস্বাদু, তেমনি রোগ নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও। মধুতে যেসব উপকরণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম উপকরণ সুগার। সুগার বা চিনি আমরা অনেকই এড়িয়ে চলি। মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর নমুনা পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এতে অ্যালুমিনিয়াম, বোরন, ক্রোমিয়াম, কপার, লেড, টিন, জিংক ও জৈব এসিড (যেমন-ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, টারটারিক এসিড এবং অক্সালিক এসিড), কতিপয় ভিটামিন, প্রোটিন, হরমোনস, এসিটাইল কোলিন, অ্যান্টিবায়োটিকস, ফাইটোনসাইডস, সাইস্টোস্ট্যাটিক্স এবং পানি (১৯-২১%) ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। ভিটামিন যেমন- ভিটামিন সি বা অ্যাসকরবিক এসিড, ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, বি-৫, বি-৬, ভিটামিন-ই, ভিটামিন-কে, ভিটামিন-এ বা ক্যারোটিন ইত্যাদি বিদ্যমান। মধু এমন ধরনের ওষুধ যার ভেতর কোলেস্টেরলবিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়াবিরোধী উপাদান আছে। প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে খালি পেটে চা চামচের দুই চামচ করে মধু খেতে হবে।
মধু নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ সেবন করলে যেসব উপকার পাওয়া যায় :
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২। দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।
৩। দাঁতকে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করে।
৪। মধু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫। ক্ষুধা, হজমশক্তি ও রুচি বৃদ্ধি করে।
৬। রক্ত পরিশোধন করে।
৭। শরীর ও ফুসফুসকে শক্তিশালী করে।
৮। জিহ্বার জড়তা দূর করে।
৯। মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
১০। বাতের ব্যথা উপশম করে।
১১। মাথা ব্যথা দূর করে।
১২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১৩। ব্যায়ামকারীদের শক্তি বাড়ায়।
১৪। মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক হয় ।
১৫। দাঁতকে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করে।
১৬। গলা ব্যথা, কাশি-হাঁপানি এবং ঠাণ্ডাজনিত রোগে বিশেষ উপকার করে।
১৭। শিশুদের দৈহিক গড়ন ও ওজন বৃদ্ধি করে।
১৮। শিশুদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে তার ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি সহজে হয় না।
১৯। দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।
২০। বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে।
২১। শারীরিক দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি-সামর্থ্য দীর্ঘস্থায়ী করে।
২২। আলচার ও গ্যাস্ট্রিক রোগের জন্য উপকারী।
২৩। যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক।
২৪। মধু খাওয়ার সাথে সাথে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে শরীর হয়ে উঠে সুস্থ, সতেজ এবং কর্মক্ষম।
২৫। শিশুদের প্রতিদিন অল্প পরিমাণ মধু খাওয়ার অভ্যাস করলে তার ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, জ্বর ইত্যাদি সহজে হয় না।