প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫
মৎস্য কর্মকর্তার মিথ্যা প্রত্যয়ন?

চাঁদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুকের কাছ থেকে ব্যাখ্যা তলব করেছে চাঁদপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৫) আদালত তাকে তলব করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর সদর থানায় দায়েরকৃত মৎস্য আইনের দুটি মামলায় জব্দকৃত আলামত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ধ্বংস করে স্থিরচিত্র আদালতে দাখিল করার জন্যে ইতঃপূর্বে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কারেন্ট জাল ধ্বংস করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক দাখিলকৃত স্থিরচিত্রে মৎস্য কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। অথচ মৎস্য কর্মকর্তা তার উপস্থিতিতে এই জাল ধ্বংস করা হয়েছে মর্মে প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেছেন। দুটি মামলায় একই স্থিরচিত্র দাখিল করা হলেও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতি দেখা যায়নি। আদালতের আদেশ মোতাবেক নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ধ্বংস করার জন্যে সশরীরে উপস্থিত না হয়ে তার সম্মুখে কারেন্ট জাল ধ্বংসের প্রত্যয়ন দেয়ায় এ বিষয়ে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা তলব করেছেন চাঁদপুরের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুর রহমান। আগামী ৭ কার্যদিবসে আদালতে উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্যে আদেশের কপি সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। কারেন্ট জাল ও ইলিশ জব্দ হওয়া নিয়ে মুখরোচক নানা কথা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। জব্দকৃত কারেন্ট জাল ও ইলিশ বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগও পাওয়া যায়। এবার আদালত একজন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারেন্ট জাল ধ্বংসে প্রত্যয়নের বিষয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্যে তলব করেছেন। তাঁর ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করেই আদালত মন্তব্য করবে। তবে আমাদের কাছে মৎস্য কর্মকর্তার প্রত্যয়ন নিয়ে নেতিবাচকতাই স্পষ্ট মনে হচ্ছে। কথা হলো, একজন দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা কি কোনো মিথ্যা প্রত্যয়ন করতে পারেন?








