রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩:২১

ব্যস্ত শহরে গোধূলির কাব্য: আজানের সুরে পাখিদের ঘরে ফেরা

মো.জাকির হোসেন

যান্ত্রিক কোলাহল, যানবাহনের ধোঁয়া আর নাগরিক ব্যস্ততা—এই হলো আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের চেনা ছবি। কিন্তু এই যান্ত্রিকতার বুকেও যে প্রকৃতির এক মায়াবী রূপ লুকিয়ে থাকতে পারে, তার দেখা মিলল গতকাল নিভৃত এক গোধূলি বেলায়

সূর্য যখন রক্তিম আভা ছড়িয়ে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই [নির্দিষ্ট স্থানের নাম] এলাকার আকাশজুড়ে শুরু হয় পাখিদের ডানা ঝাপটানো। কয়েকশ আবাবিল পাখি যেন কোনো এক অঘোষিত নিমন্ত্রণে এসে জড়ো হয়েছে রাস্তার ধারের বৈদ্যুতিক তারগুলোতে। সারিবদ্ধভাবে বসে থাকা এই পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুহূর্তেই ম্লান হয়ে যায় রাস্তার হর্ন আর ইঞ্জিনের শব্দ।

সবচেয়ে বিস্ময়কর মুহূর্তটি আসে যখন নিকটস্থ মসজিদ থেকে ভেসে আসে মাগরিবের আজানের ধ্বনি। আজানের সেই সুমধুর সুরের সাথে পাখিদের কলতান মিলেমিশে এক আধ্যাত্মিক পরিবেশ তৈরি করে। রাস্তার পাশে থাকা বিশাল এক কাঠবাদাম গাছের ডালপালা ভেদ করে পাখিদের এই ওড়াউড়ি যেন কোনো নিপুণ শিল্পীর আঁকা জীবন্ত ক্যানভাস

পথচলতি অনেক মানুষকেই দেখা গেল থমকে দাঁড়িয়ে এই বিরল দৃশ্য মোবাইল ফোনে বন্দি করতে। স্থানীয় এক বাসিন্দা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, "আমরা সারাদিন এতো ব্যস্ত থাকি যে মাথার ওপরের এই আকাশ আর প্রকৃতির ছন্দ দেখার সময় পাই না। আজানের সময় পাখিদের এই শান্তভাবে বসে থাকাটা মনে এক অদ্ভুত প্রশান্তি এনে দেয়।"

বিশেষজ্ঞদের মতে, নগরায়নের ভিড়ে বনের পাখিরা এখন শহরের বৈদ্যুতিক তার আর দালানকোঠাকেই তাদের নিরাপদ আশ্রয় বানিয়ে নিচ্ছে। তবে প্রকৃতির এই ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে আরও বেশি গাছ লাগানো প্রয়োজন।

দিনের আলো নিভে আসার সাথে সাথে পাখিরাও তাদের আশ্রয়ে ফিরে যায়, কিন্তু ব্যস্ত শহরবাসীর মনে রেখে যায় এক টুকরো নির্মল প্রশান্তি আর প্রকৃতির প্রতি হারানো টান

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়