সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:১৩

বিষয়টি অনেক স্বস্তির

অনলাইন ডেস্ক
বিষয়টি অনেক স্বস্তির

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে চাঁদপুর জেলার ২২৪টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা সেনাবাহিনী, পুলিশ, নৌ পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস এবং রাজনৈতিক মহল ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সহায়তা করায় তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ এবং জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর ২০২৫) রাতে বিজয়া দশমীর দিনে এই দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক এ কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ এবং চাঁদপুর জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার ও সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা বলেন, কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এবং শঙ্কা ছাড়াই সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে আমাদের জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব সুসম্পন্ন হয়েছে। পূজোর এ আয়োজনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতি মুহূর্তে আমাদের পূজামণ্ডপগুলোর নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিমের পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট, বিদ্যুৎ বিভাগ, রাজনৈতিক মহল ও সনাতনী নেতৃবৃন্দসহ যারা যে অবস্থায় সহায়তা করেছেন সবার প্রতিই আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তাঁরা আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সর্বদা অটুট রেখে এক ও অভিন্ন হয়ে যে কাজ করা যায় তারই অনন্য নজির হচ্ছে এই শারদীয় দুর্গোৎসব। আমাদের পূজা উদ্যাপন পরিষদের জেলা, উপজেলা ও পৌর এবং ঐক্য পরিষদ, যুব ঐক্য পরিষদ, ছাত্র ঐক্য পরিষদ ও অন্যান্য সনাতনী সংগঠনও নির্বিঘ্নে পূজো সমাপ্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। তারা যাতে এভাবেই সবসময় সমন্বয় রেখে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করে যেতে পারে এ প্রত্যাশাই রাখছি।

শুধু চাঁদপুর জেলায় নয়, এবার সারাদেশে উল্লেখযোগ্য কোনো অঘটন ছাড়াই সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচে’ বড়ো ধর্মীয় উৎসব পাঁচদিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন হয়েছে। কোনো দুষ্কৃতকারী, কোনো গুজব সন্ত্রাসী দুর্গাপূজায় কোথাও এবার বিঘ্ন ঘটাতে পেরেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে কিছু প্রকাশিত হয় নি। নিঃসন্দেহে এটা অনেক বড়ো স্বস্তির। সেজন্যে চাঁদপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের অব্যবহিত পরেই অকপটে তাঁদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার, তার প্রশাসন যন্ত্র তো বটেই, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং জামায়াত সহ ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো এবারের দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পাহারাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় যে ঔদার্য ও তীক্ষè সচেতনতা দেখিয়েছে, যেটা স্মরণকালে ছিলো বিরলদৃষ্ট। ২০২৫ সালের দুর্গাপূজার মতো অনাগত বছরগুলোর দুর্গা পূজাতে যদি একই ধরনের শান্তিপূর্ণ ও স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বজায় থাকে, তাহলে ইতিহাসের পাতায় ২০২৫ সালকে মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। আমরা সারাবিশ্বের জন্যে দৃষ্টান্তযোগ্য হতে পারে বাংলাদেশে এমন টেকসই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সবসময়ই প্রত্যাশা করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়