প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:২৩
অকালে হারিয়ে যাওয়া রাজনীতিবিদের জন্যে শোক

রাজনীতির সিঁড়িগুলো ডিঙ্গানো খুবই সহজ কাজ নয়। আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য, শৃঙ্খলা, বিবিধ ত্যাগ, বিশেষ করে নিজস্ব মতামতকে জলাঞ্জলি দিয়ে সম্মিলিত মতামতকে মেনে নেয়া, শ্রম, মেধা ও অর্থব্যয় সহ নানা প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা, আর প্রতিপক্ষের হামলা-মামলা, জেল-জুলুম সহ্য করেই ধাপে ধাপে রাজনীতির সিঁড়িগুলো ডিঙ্গাতে হয়। সেজন্যে রাজনীতিতে এমন সিঁড়ি ডিঙ্গানো মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এমনই একজন দুষ্কর মানুষ ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন খান। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ছাত্র সংগঠনে ছাত্রদলে যোগদান করে তিনি নিজেকে যে কীভাবে গড়েছেন! চাঁদপুর জেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজে নিজের সংগঠনকে শুধু মজবুতই করেননি, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে নিজের গ্রহণযোগ্যতাকে করেছেন আকাশচুম্বী। খেলাধুলায় মনোযোগী, সুঠাম দেহের অধিকারী, মার্জিত ব্যবহারে ঋদ্ধ, লম্বা গড়নের সুদর্শন এক শিক্ষার্থী হিসেবে ছিলো তাঁর বহুল পরিচিতি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ দিনগুলোতে ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক। যার ফলে এ কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সংসদ নির্বাচনে ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। সাথে জেনারেল সেক্রেটারী (জিএস) পদে তাঁর দলের প্রার্থী মোশারফ হোসেনও জয়লাভ করেন। তিনি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে নেতৃত্বে ছিলেন বলিষ্ঠ ও সফল। যে কারণে ১৯৯২-১৯৯৩ শিক্ষাবর্ষে তাঁর দলের মনোনীত ভিপি প্রার্থী শাহজালাল মিশন ও জিএস প্রার্থী মজিবুর রহমান লিটন এবং ১৯৯৫-১৯৯৬ শিক্ষাবর্ষে জিএস প্রার্থী মো. আফজাল হোসেন জয়লাভ করেন। ছাত্রদলের অধ্যায় শেষে পেশাগতভাবে আইনজীবী হওয়ার আগে তিনি ব্যবসা করেছেন, তবে যুবদলের পদ-পদবীতে তৎপর না হয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলকে সুসংগঠিত করতে আহ্বায়ক ও সভাপতির দায়িত্বপালন করেন। তারপর তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা বিএনপিতে পরপর দুবার সেক্রেটারী পদে দায়িত্বপালন করেন তাঁর একবছর পর ভিপি পদে নির্বাচিত শাহজালাল মিশনকে সভাপতি মেনেই। এক্ষেত্রে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্যের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেন। সেজন্যে জেলা বিএনপির সর্বশেষ গঠিত কমিটিতে তিনি যুগ্ম সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হবার সুযোগ পান।
|আরো খবর