বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০২

রাব্বি হত্যার বিচার আশা করি নিশ্চিত হবে

অনলাইন ডেস্ক
রাব্বি হত্যার বিচার আশা করি নিশ্চিত হবে

চাঁদপুর শহরের রেলওয়ে এলাকায় সংঘটিত রাব্বি হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি বিপ্লবকে গ্রেফতার করেছে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার (৪ আগস্ট ২০২৫) ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করার পর চাঁদপুর নিয়ে আসা হয়েছে। চাঁদপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মিন্টু দত্তের নেতৃত্বে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর সোমবার দুপুরে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মামলার প্রধান আসামি বিপ্লব ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানায় ও এর সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের সকলের নাম ফাঁস করে দেয়।

গত ১৪ মে ২০২৫ রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে রাব্বিকে ফেলে রাখা হয় রেল এলাকার নির্জন স্থানে। খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হলে একদিন আইসিইউতে থাকার পর ১৫ মে বিকেলে মারা যান রাব্বি। পরে নিহত রাব্বির মা জেসমিন বেগম এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এজাহারে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর পুলিশ একে একে সাতজন আসামিকে গ্রেফতার করে। তদন্তে উঠে আসে প্রধান আসামি হিসেবে বিপ্লবের নাম। মামলার দ্বিতীয় আসামি শাকিল রোববার স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত রাব্বির মা জেসমিন বেগম জানান, তাদের বুক খালি করে যারা ছেলেকে কেড়ে নিয়েছে, তাদের যেন বিচার এমন হয়—তাদের মায়েদের বুকও একদিন যেন এমন খালি হয়। তিনি আদালতের কাছে খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

রাব্বির মা জেসমিন বেগম বস্তুত সকল খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে ফাঁসিই দাবি করেছেন। তার ছেলে রাব্বিকে হত্যার ঘটনাটি চাঁদপুর শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং শহরবাসীর অন্তরে মারাত্মক আঘাত হানে। রাব্বিকে বাঁচাতে গিয়ে তার গর্ভধারিণী মা সহ অন্য স্বজনরা যেভাবে মার খেয়েছেন, সেটা ছিলো অনেক মর্মান্তিক। চাঁদপুর শহর সন্ত্রাসের জনপদ না হলেও রাব্বিকে হত্যার জন্যে সেদিন সন্ত্রাসীরা যা করেছে, সেটা শহরবাসীকে হতবাক করেছে। শহরে এমন সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য নির্মূলে রাব্বির খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির কোনো বিকল্প নেই। আশা করি পুলিশের তৎপরতায় মূল আসামিরা গ্রেফতার হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে এবং কাক্সিক্ষত বিচার নিশ্চিত হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়