প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫, ১১:০১
বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটির ঝুঁকিপূর্ণ বহুবিধ ব্যবহার!

চাঁদপুর শহরে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিদ্যুতের খুঁটি যেনো নীরব এক মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এমন মরণ ফাঁদের মাঝেই নিত্য যাতায়াত করছে পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন। বিষয়টি যেনো কারোরই চোখে পড়ছে না। জানা যায়, গত দেড় দুই মাস ধরে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি এলাকায় আল-হেলাল হোটেলের সামনে একটি বিদ্যুতের খুঁটি হেলে আছে। পুরো খুঁটিতে বিভিন্ন বিদ্যুতের তার এবং টিএন্ডটি, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগের লাইনও রয়েছে। আর সেই তারগুলো একেবারেই নিচে। পথচারীরা তার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে তারগুলো গায়ে লাগতে দেখা গেছে। অনেকেই বলছেন, এমন ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যদি পথচারীরা চলাচল করে, তাহলে যে কোনো সময়ই কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। অথচ কর্তৃপক্ষের নজরে যেনো বিষয়টি একেবারেই উপেক্ষিত। এখনই যদি জরুরি উদ্যোগ না নেয়া হয়, তাহলে যে কোনো সময়ই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। বিষয়টি সমাধানের জন্যে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল। উপরোল্লিখিত বিবরণটি গত ২০ মে ২০২৫ তারিখে চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এটি বিদ্যুৎ খুঁটিটি হেলে যাবার কারণে পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। কথা হলো, চাঁদপুর শহরে বিদ্যুতের একটি খুঁটিরই কি এমন দশা, না সকল খুঁটিরই? বস্তুত সকল বিদ্যুৎ খুঁটিই ঝুঁকিপূর্ণ বহুবিধ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বিনা অনুমতি ও বিনা ভাড়ায়। এতে বাধা দেওয়াটা ফরজের মতো হলেও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) নফলের মতোও মনে করছে না। টেলিফোনের স্বল্পসংখ্যক খুঁটিরও বিদ্যুতের খুঁটির ন্যায়ই বহুবিধ ব্যবহার চলছে বিটিসিএলের বিনা বাধা ও বিনা আপত্তিতেই। টেলিফোনের খুঁটির এই বহুবিধ ব্যবহার খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও বিদ্যুতের খুঁটির বহুবিধ ব্যবহার অবশ্যই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ও দৃষ্টিকটু। শহরের প্রতিটি সড়কের একপাশে এমন দৃষ্টিকটু খুঁটির অবস্থান রয়েছেই। এমন খুঁটি শুধু চাঁদপুর শহর নয়, খোদ রাজধানীসহ দেশের প্রায় সকল শহরেই দেখা যায়। এমতাবস্থায় ক্যাবল অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ডেকে বিউবো (কোথাও কোথাও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড) এবং বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ সতর্ক করতে পারে এই বলে যে, ‘’আপনাদের তার টানানোর জন্যে আপনারা সড়কের পাশে নিজস্ব খুঁটি স্থাপন করুন, অন্যথায় নির্দিষ্ট সময়ান্তরে আমাদের খুঁটি থেকে আপনাদের তার অপসারণ করতে বাধ্য হবো।’’ সময়মত এমনটি না করলে চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি এলাকার হেলে যাওয়া বিদ্যুৎ খুঁটিটিই কেবল নীরব মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে থাকবে না, এই শহরসহ অন্যান্য শহরের আরো অনেক খুঁটিও হবে তেমনই। এ বিষয়টি বিউবো, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও বিটিসিএলকে খুবই গুরুত্বের সাথে ভাবতে হবে। অন্যথায় একদিন বাড়তি তারের চাপে কিংবা প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে হঠাৎ যখন বিদ্যুতের খুঁটি/টেলিফোনের খুঁটি হেলে মাটিতে পড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ঘটাবে, তখন বিউবো/পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও বিটিসিএল কর্মকর্তাদের কারো না কারো কঠিন জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে বলে আমরা মনে করি। কেউ কেউ যে চাকুরি হারাবেন না বা সাময়িক বরখাস্তসহ অন্য শাস্তির মুখোমুখি হবেন না, সেটার নিশ্চয়তা কে দিতে পারে?