বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৮

ভোক্তার স্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকুক

অনলাইন ডেস্ক
ভোক্তার স্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকুক

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল ২০২৫) দুপুরে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় কর্তৃক চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী কাঁচা কলায় ক্ষতিকর রাসায়নিক স্প্রে করিয়ে পাকানোর দায়ে মোক্তার হোসেনকে ১০ হাজার টাকা, পচা মরিচ ভাঙ্গিয়ে বিক্রয় করায় ইউসুফ খানকে ২০ হাজার টাকা এবং হলুদের সাথে রং মিশিয়ে বিক্রি করায় দুলাল সাহাকে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে সেটা আদায় করা হয়। চাঁদপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানার অর্থ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিশোধ করে। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ পুনরায় এ ধরনের অনিয়ম থেকে বিরত থাকবে বলে অঙ্গীকার করে। এছাড়া নিয়মিত মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও ভোক্তা অধিকারবিরোধী কার্য হতে বিরত থাকার জন্যে লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়। অভিযানকালে সকল ব্যবসায়ীকে দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙ্গানো, ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ, নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রয় থেকে বিরত থাকা এবং অবৈধ মজুদদারি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সময় ক্যাবের প্রতিনিধি এবং পুলিশের একটি টিম সার্বিক সহায়তা প্রদান করে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সাম্প্রতিক সময়ে চাঁদপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে বেশ সক্রিয় বলে মনে হচ্ছে। সপ্তাহের পাঁচদিনই সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে ভোক্তার স্বার্থে চলছে অভিযান। তবে মঙ্গলবারে পুরাণবাজারে পরিচালিত অভিযানটি ছিলো বেশ আলোচিত। তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করায় অভিযানটিকে সাঁড়াশিই মনে হয়েছে। কিছু দুর্নীতিবাজ, লোভী ও বেপরোয়া প্রকৃতির ব্যবসায়ীকে শায়েস্তা করতে এমন অভিযানের বিকল্প নেই।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানকে সফল করতে ভোক্তাদের সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর কার্যক্রমকে অনেক বেশি গতিশীল করতে হবে, যাতে ভোক্তাদের অনেক বেশি সচেতন করা যায়। ভোক্তারা সচেতন হলেই তারা সকল ক্ষেত্রেই পর্যবেক্ষণ তীক্ষ্ণ করবে এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, ক্যাবের আন্দোলনের ফসল হিসেবে ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার আইন পাস হলে এবং এই আইনের বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গঠনক্রমে কার্যক্রম শুরু হলে চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্যাবের সাংগঠনিক তৎপরতা ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ে। এটা প্রত্যাশিত নয়। আশা করি ক্যাবের নেতৃবৃন্দ চাঁদপুর সহ দেশের সর্বত্র ক্যাবের কার্যক্রম গতিশীল করতে ব্যাপক উদ্যোগ নেবেন। এতে ভোক্তা-সচেতনতা বৃদ্ধি তথা প্রেসার গ্রুপ সৃষ্টি হবে। ফলস্বরূপ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম কোথাও শিথিল না হয়ে ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হবে বলে মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়