বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৫, ১০:১০

যৌথ বাহিনীর দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ

অনলাইন ডেস্ক
যৌথ বাহিনীর  দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ

চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকা থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ ২০২৫) দিবাগত গভীর রাতে ডাকাতিয়া নদীর পন্টুন ঘাটের একটি কক্ষ থেকে প্লাস্টিক বস্তায় মোড়ানো এসএস স্টিল ও লোহার তৈরি ৩০টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্পের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলায় সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখ রাত ১টার পর স্থানীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্প হতে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নতুন বাজার, চাঁদপুর সদর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে ৩০টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য উদ্ধারকৃত সামগ্রী পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুরাণবাজার থেকে একের পর এক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের পর এবার যৌথবাহিনী চাঁদপুর শহরের নূতনবাজার এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করতে পেরেছে, যেটা শহরবাসীর কাছে অনেক স্বস্তিদায়ক বলে মনে হচ্ছে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের কারণে এবং একই সঙ্গে একের পর এক কিশোর গ্যাং সদস্য আটক হওয়ায় চাঁদপুর শহরে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে রমজান শুরুর পর যে সন্ত্রাসী তৎপরতা চাঁদপুর শহরে দেখা গেছে, এ বছর সেভাবে দেখা না যাওয়ায় এমন ধারণার জন্ম হয়েছে। আমরা এই ধারণা যৌথ বাহিনীর অব্যাহত অভিযানে টেকসই হোক সেটাই প্রত্যাশা করছি।

আগে তো কিশোর গ্যাং সদস্যদের আটক করা হলে থানায় তাদের বাবা-মা/ অভিভাবককে ডেকে এনে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হতো। সাম্প্রতিক সময়ে এদের আটক করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে। আদালত হয় জামিন দিচ্ছে কিংবা জেল হাজতে পাঠাচ্ছে। এটাও কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলছে বলে মনে হচ্ছে। তবে গডফাদারদের ইন্ধনে কিশোর গ্যাং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের যে সুযোগ নিতে পারে সে আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ ব্যাপারে ঈদপূর্ব ও ঈদুত্তর যৌথবাহিনীর তৎপরতাকে নিবিড় ও অব্যাহত রাখতে হবে--এটা পর্যবেক্ষকদের অভিমত। আশা করি এই অভিমতের যথার্থ মূল্যায়ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়