প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪৪
মেঘনায় সাত খুন : নৌপথের নিরাপত্তা প্রশ্নবোধক
একসময় প্রায় প্রতিবছর চাঁদপুর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শীর্ষ সংবাদ হতো লঞ্চডুবিতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায়। গত বেশ ক'বছর ধরে সেটি আর হচ্ছে না। এক সময় চাঁদপুর ছিলো নৌ চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য। ডাকাতিয়া নদীতীর থেকে লঞ্চঘাট মেঘনা নদীতীরে স্থানান্তরের পর লঞ্চডুবি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। আর কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের কার্যক্রম পুরোদমে চালুর পর, বিশেষ করে এ দুটি সংস্থার দপ্তর চাঁদপুরে হবার পর চাঁদপুরের নদীপথে চোরাচালান পূর্বের চেয়ে অনেক কমেছে। তবে বন্ধ হয়নি। নৌপথের নিরাপত্তা পূর্বের চেয়ে তুলনামূলক বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি আপাত দৃষ্টিতে মনে হলেও গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৪) মেঘনায় একটি সারবাহী জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় চাঁদপুর দু দশক পর আবার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শীর্ষ সংবাদের উপজীব্য হয়েছে। সাথে সাথে চাঁদপুরের মেঘনার বিস্তীর্ণ নৌপথের নিরাপত্তা প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
|আরো খবর
মেঘনায় কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের টহল থাকা সত্ত্বেও নৌযান থেকে চোরাচালান, পাচার, নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন, নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ব্যাপক ব্যবহার, ক্ষুদ্র নৌযানে ডাকাতি বন্ধ হয়নি। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় অভয়াশ্রম চলাকালেও আসেনি পুরোপুরি সাফল্য। এর কারণ কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ নানা সমস্যা, সংকট কিংবা অন্য কোনো কারণে মেঘনায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না। এর ফলে নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় চলছে যাত্রীবাহী নৌযান, বিশেষ করে পণ্যবাহী নৌযান।
চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নৌপথে মালামাল পরিবহণে এবং দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী পরিবহণে দেশের প্রশস্ত নৌপথ মেঘনাকে, বিশেষ করে চাঁদপুর সংলগ্ন নৌপথকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সে হিসেবে এই নৌ পথটির পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। কথা হলো, এটি কি সরকারের ঊর্ধ্বতন ও সংশ্লিষ্ট মহল গুরুত্বের সাথে ভাবছে?