প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৯
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বিচারের দাবি পূরণ হোক
কচুয়ায় প্রলোভন দেখিয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে ওই কিশোরীর পিতা কৃষি কাজ করতে মাঠে যায় এবং তার মা পাশের বাড়িতে কাজ করতে চলে যায়। এমন সময় মনোহরপুর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে মজিবুল বাসার তাদের গৃহে ঢুকে জোরপূর্বক কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে ধর্ষিতার মা তাকে কচুয়া সিটি হাসপাতালে এনে চেকআপ করালে ধর্ষণের আলামত পায়। এ ঘটনা নিয়ে বেশ ক’বার এলাকায় সালিস বসে। সালিসে সিদ্ধান্ত হয়, মেয়েটির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে মজিবুল বাসার তাকে বিয়ে করতে হবে। কিন্তু মজিবুল বাসার গং এই রায় মেনে না নিয়ে উল্টো কিশোরীর পরিবারকে হুমকি প্রদান করে এবং এ বিষয় নিয়ে কোনো কথা বললে বা আইনের আশ্রয় নিলে তাকে ও তার পিতা-মাতাকে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় নিরূপায় হয়ে ধর্ষিতার মা বিচারের দাবিতে গত ৪ ডিসেম্বর চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের নিকট ও গত ৮ ডিসেম্বর কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী জানান, অভিযোগটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। হাতে আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
কচুয়ার বর্তমান ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী চাঁদপুর সদর উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায় তাঁর কর্মদক্ষতা ও ন্যায়নিষ্ঠায় সকল মহলের মন জয় করেছিলেন। আমাদের বিশ্বাস, কচুয়ার ধর্ষিতা কিশোরীর পক্ষে দায়েরকৃত অভিযোগটি করায়ত্ত হলে ইউএনও মহোদয় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাগ্রহণে আন্তরিকভাবে উদ্যোগী হবেন এবং তার মধ্য দিয়ে কিশোরীর পরিবারের বিচারের দাবি পূরণ হবে কিংবা একটা সুন্দর সমাধানের পথে তারা এগুতে পারবে। আমরা এ ব্যাপারে কচুয়ার মানবাধিকার কর্মী ও নারী নেত্রীসহ সচেতন মানুষদেরও সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি, যাতে ইউএনও মহোদয়ের পক্ষে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের কাজটি সহজ হয়।