বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩

বাংলাদেশ সেন্টারের সমস্যা, সমাধান ও সম্ভাবনা

ড. আজিজুল আম্বিয়া
বাংলাদেশ সেন্টারের সমস্যা, সমাধান ও সম্ভাবনা

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ সেন্টারের কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট কমিটির ৫০ বছরের মধ্যে কোনো নির্বাচন হয়নি। গত ২৬ নভেম্বর ২০২৩ সালে এই সেন্টারের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এ নিয়ে সমস্ত যুক্তরাজ্য জুড়ে নানা প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। এই সেন্টারের একটি অংশ বরাবর অভিযোগ করছেন, চ্যারিটি কমিশনের সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে নির্বাচন হয়নি। তাদের মতে, ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সেন্টারের এমন মনগড়া হাস্যকর নির্বাচন আমাদের জাতিগত মর্যাদা ও যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, প্রায় এক যুগ ধরে সাধারণ সম্পাদক বিরামহীন ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটাও অনেকে ভালো চোখে দেখছেন না। আর এই বাংলাদেশের পতাকাবাহী ঐতিহাসিক সেন্টারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ বাঙালি কমিউনিটি দুভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পৃথক স্থানে হচ্ছে সভা-সমাবেশ। তাই এই সেন্টারের ভবিষ্যৎ হুমকির সম্মুখীন হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

বাংলাদেশের এতো বড় সম্পদ নিয়ে খামখেয়ালি করা উচিত হবে না বলে সুশীলরা মনে করেন। বাংলাদেশ সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্পর্কে ১৯৮৩ সালের ৯ মে প্রণীত চ্যারিটি কমিশন ও কোম্পানি হাউজে রক্ষিত সংবিধানে বলা হয়েছে : ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ (নারী-পুরুষ) নির্বিশেষে বিলেতে বসবাসকারী বাঙালিদেরকে শিক্ষা, চিকিৎসা, যুক্তরাজ্যে পড়তে আসা ছাত্রদের জন্যে ছাত্রাবাসসহ স্বাস্থ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে সেবা প্রদানের জন্যে সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই সেন্টার গঠিত হয়, সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি? সেই প্রশ্ন এখন এখানকার সব মানুষের। বাংলাদেশের অসহায় মানুষদের সুযোগ-সুবিধার দেওয়ার জন্যে যে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেখানে এই সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা এখন খুঁজে বের করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বাঙালি জাতির বিরাট স্বার্থ রক্ষার স্বার্থে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর সুবিধাবঞ্চিতরা যাতে সুবিধা পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। অভিযোগ আছে, বিভিন্ন অজুহাতে নতুন সদস্য নেওয়া হচ্ছে না এবং সিলেটের একটি থানার একটি গ্রামের অধিকাংশ মানুষই এই প্রতিষ্ঠানটির সদস্য। অথচ সমস্ত বাংলাদেশের মানুষের এই প্রতিষ্ঠানটিতে সবাই চায় অংশগ্রহণ করতে, কিন্তু সংবিধানের দোহাই দিয়ে নতুন মেম্বার করা হচ্ছে না। তাই অনেকের ক্ষোভ ও ভয় রয়েছে এই সম্পদ কুক্ষিগত করতে হয়তো এই অজুহাত। তাই নতুন সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ করে দিতে হবে এটাই এখন এই প্রজন্মের দাবি। আর দেশের প্রয়োজনে আইন যদি সংস্কার করতে হয় তবুও করা উচিত নয় কি? এই প্রশ্ন এখন অনেকের। এখন আসুন আমরা জেনে নিই এই প্রতিষ্ঠানটির ইতিহাস সম্পর্কে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে লন্ডনের ঐতিহাসিক ‘বাংলাদেশ সেন্টার’। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা। তখন যুক্তরাজ্য প্রবাসীরাই স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে বৈশ্বিক সমন্বয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন ‘বাংলাদেশ সেন্টার’। এই সেন্টারেই ভারতের পর বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম কোনো দূতাবাস চালু হয়। দ্য রয়্যাল লন্ডন বারা অব কেনজিংটন অ্যান্ড চেলসি এলাকার নটিংহিল গেইট টিউব স্টেশনের কাছেই ২৪ পেমব্রিজ গার্ডেন্সে অবস্থিত ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সেন্টার। মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস লন্ডন থেকেই পরিচালিত হয়েছিল কূটনৈতিক তৎপরতা। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে এই সংগ্রাম চলেছিলো। পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি স্টিয়ারিং কমিটিও গঠন করা হয়েছিলো। তবে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী কমিটিতে ছিলেন না। ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল কোভেন্ট্রিতে লন্ডনে শিক্ষক লুলু বিলকিস বানুর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আজিজুল হক ভূঁইয়া, মনোয়ার হোসেন, শামসুর রহমান, শেখ আব্দুল মান্নান ও সিলেটের ড. কবির চৌধুরীকে সদস্য করে যুক্তরাজ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অ্যাকশন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটিই পরবর্তীকালে স্টিয়ারিং কমিটি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন স্থানে যেসব অ্যাকশন কমিটি গঠিত হয়েছিল, তা পরে শাখা কমিটি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে ট্রাফালগার স্কয়ার ও হাইড পার্কে জনসমাগমে এসব কমিটি বিরাট ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ ফান্ডে প্রবাসীরা চাঁদা দিয়েছিলেন, যা দেশ স্বাধীনের পর স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোভেন্ট্রি সম্মেলনে কমিটি গঠনের সময় বেশ বেগ পেতে হয়েছিল উদ্যোক্তাদের। তারপরও কমিটি হওয়ার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সবাই। এই কমিটিকে সহযোগিতা করতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা গউস খানকে সভাপতি, মিনহাজ উদ্দিনকে সহ-সভাপতি ও ব্যারিস্টার শাখাওয়াত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি সহযোগী কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী কমিটিতে না থাকলেও তাঁকে বাংলাদেশ সরকারের অফিশিয়াল প্রতিনিধি হিসেবে শিরোমণি করে রাখা হয়। তাঁর সঙ্গে পরামর্শ করে আন্দোলন চলবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লুলু বিলকিস বানুর সভাপতিত্বে ২১ নম্বর রোমিলি স্ট্রিটে স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেখ আব্দুল মান্নানের বাড়িতে স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। হারুনুর রশীদ নামের এক ব্যক্তি তাঁর ব্যবসায়িক কার্যালয়টি কমিটির কাজে ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে পাট রপ্তানির ব্যবসা করতেন। ১১ নম্বর গোরিং স্ট্রিট থেকেই শুরু হলো ব্রিটেন থেকে ফরেন ফ্রন্টের কূটনৈতিক যুদ্ধ। স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আজিজুল হক ভূঁইয়াকে কলকাতায় পাঠানো হলো। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের কাছ থেকে অস্ত্র কেনার অনুমতি আনার জন্যে তাঁকে চিঠি দিয়ে পাঠানো হলো। তিনি প্রায় তিন মাস কলকাতা ও মুক্তিবাহিনীর শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন। এই তিন মাস অফিস পরিচালনা করেন শেখ আব্দুল মান্নান। তখন শেখ আব্দুল মান্নানকে কাজ করতে অনেক সময় ব্যয় করতে হতো। অনেক রাতে তাঁকে বাড়ি ফিরতে হতো। ১৯৭১ সালের জুন মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ টুডে নামে একটি মুখপত্র প্রকাশিত হলো। এক বাঙালি ব্যবসায়ী ফটোকপি মেশিন দান করেছিলেন এ কাজে। ১১ গোরিং স্ট্রিটের কার্যালয়টি একটি অস্থায়ী দূতাবাসে রূপ নিয়েছিল। তখন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী আরও প্রশস্ত অফিসের প্রয়োজন অনুভব করলেন। কিন্তু তখন প্রোপার্টি কেনার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না বাংলাদেশ তহবিলে। আবার থাকলেও উপায় ছিলো না। কারণ, বাংলাদেশ তহবিলের অর্থ প্রোপার্টি কিনতে ব্যয় করা যাবে না। এদিকে যেভাবে বিদেশি সমর্থন বাড়ছে, তাতে একটি দূতাবাস স্থাপন করলে স্বীকৃতি আদায় সহজ হতে পারে বলে মনে করলেন অনেকে। এ সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন এক বিদেশি, ডোনাল্ড চেজওয়ার্থ। তিনি পশ্চিম লন্ডনের ২৪ প্রেমব্রিজ গার্ডেনের একটি বাড়ির নিচতলার কয়েকটি ঘর নামমাত্র মূল্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্যে ব্যবস্থা করে দিলেন। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ‘প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি’ থেকে এসব তথ্য জানা যায়। আরও জানা যায়, এগুলোর ভাড়া ছিল মাসে মাত্র ১০০ পাউন্ড। ২৪ প্রেমব্রিজ গার্ডেন বাংলাদেশের প্রথম দূতাবাস। ১১ গোরিং স্ট্রিট থেকে ২৪ প্রেমব্রিজ গার্ডেনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। কলকাতার থিয়েটার রোডে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের আবাসিক অফিস ছিলো। আর লন্ডনে ২৪ প্রেমব্রিজ গার্ডেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের দূতাবাস ছিলো। এই ভবনটির ঐতিহাসিক মূল্য অপরিসীম। সব দেশ ও জাতি তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখে। অথচ ইজলিংটনে ইস্ট পাকিস্তান হাউস, পরে বাংলাদেশ ভবন সংস্কারের অভাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। পূর্ব লন্ডনের নজরুল সেন্টার, সাড়ে বায়ান্ন সেন্টার, বার্নার সেন্টার, ওয়েলফেয়ার ভবন একসময় কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে সরগরম থাকতো। এখন এ সেন্টারগুলোও নিষ্প্রাণ। বাংলাদেশ সেন্টারও ছিল হুমকির মুখে। আশার কথা এই যে, বর্তমানে বাংলাদেশ সেন্টার যেন ভারতীয় বিদ্যা ভবন, নেহরু সেন্টারের মতো একটি কেন্দ্র হিসেবে বেঁচে থাকে--এটাই এখানকার বাঙালির প্রত্যাশা।

সংবিধান সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন এমন একজন জানান, সর্বোপরি বাংলাদেশ সেন্টারের সংবিধান পর্যালোচনা করে পরিলক্ষিত হয় কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্ট গঠন হওয়ার আগেই কেউ বাংলাদেশ সেন্টারের কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্টের কোনো পদবি দাবি করতে পারেন না। অথচ নির্বাচনের পরপরই বিভিন্ন বাংলা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে, একজন বাংলাদেশ সেন্টারের জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন। হাস্যকর বিষয় হলো, এখনো কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্ট-ই গঠন হয়নি। তাহলে জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হলেন কী করে? অন্যদিকে যারা নির্বাচন করেছেন তাদের যুক্তি হলো তারা সঠিক অবস্থানে আছেন। তাই এখন এই সমস্যা সমাধানের জন্য দরকার হবে একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞের। সংবিধানেও উল্লেখ আছে, এ রকম সমস্যা হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি সমাধান না করতে পারেন, তবে একজন আইন বিশেষজ্ঞ তার সমাধান দিতে পারেন। এই সমস্যার সমাধানের জন্যে অবশ্য উক্ত কমিটির সিনিয়র নেতা ও কমিউনিটির বিশিষ্ট জনেরা এর সমাধানের জন্যে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে তাদেরকে সততার সাথে আরও জোর চেষ্টা চালাতে হবে বলে সুশীলরা মনে করছেন। নতুবা বিষয়টির আশু সমাধান হবে না বলে অনেকে মনে করছেন। আর কমিটির মেম্বাররা যদি আন্তরিকতার সাথে এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না আসেন কিংবা ব্যর্থ হন তাহলে সংবিধান অনুযায়ী লো সোসাইটির নিবন্ধিত একজন সলিসিটর নিয়োগ করে এর সমাধান আইনানুগভাবে নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে চ্যারিটি কমিশনের হস্তক্ষেপে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ডের মূল্যবান সম্পদটি হয়তো ব্রিটিশ বাঙালিদের হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। আর বাঙালিদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য চিরতরে মুছে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বাংলাদেশ হাই কমিশনের তত্ত্বাবধানে এবং প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারকেও এ বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করে উল্লেখিত সমস্যার আশু সমাধান হওয়া উচিত বলে জ্ঞানী জন মনে করেন। তাই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বাংলাদেশ সরকার দেখবেন এই প্রত্যাশা প্রায় ১০ লক্ষ ব্রিটিশ বাঙালির।

ড. আজিজুল আম্বিয়া : কলাম লেখক ও গবেষক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়