বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৬

কখন বুঝবেন চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন?

অনলাইন ডেস্ক
কখন বুঝবেন চাকরি ছেড়ে দেওয়া প্রয়োজন?

কাজের পরিবেশ নেতিবাচক হলে সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, অফিস ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব বা একটা দিন ছুটি কাটালেও নিজেকে অপরাধী মনে হতে থাকা, সবাই আপনার কর্মজীবনের জন্য ক্ষতিকর। চাকরি যদি সঠিক হয় তবে তা আপনাকে নিরাপদ, সুখী এবং কর্মক্ষম রাখবে। যদি বিপরীত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তবে বুঝে নেবেন আপনি ভুল জায়গায় আছেন। কখন বুঝবেন আপনাকে চাকরিটি ছাড়তে হবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. কাজ নিয়ে দুশ্চিন্তা বোধ

কাজ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বোধ করা হলো কোনোকিছুতে ভুল হওয়ার একটি শক্তিশালী লক্ষণ। এটি অতিরিক্ত কাজের চাপ, ব্যর্থতার ভয়, বা হিংসুটে সহকর্মীর কারণেও হতে পারে। কাজের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা চাকরির নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব ফেলে। এই অনুভূতিগুলি অব্যাহত থাকলে আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য কাজের পরিবেশ পরিবর্তন করা জরুরি হতে পারে।

২. অবিরাম ক্লান্তি

আপনি যদি কাজ করতে গিয়ে ক্রমাগত শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত বোধ করেন তবে সেই কাজ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হতে পারে। স্ট্রেস শুধুমাত্র আপনার কর্মক্ষমতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে না, এটি স্বাস্থ্য, সম্পর্ক এবং সামগ্রিক সুখকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যদি ক্লান্তি লেগেই থাকে তবে চাকরি পরিবর্তন করার কথা ভাবতে পারেন।

৩. নেতিবাচক পরিবেশ

কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ নেতিবাচক হলে সেখানে গসিপিং, অফিস পলিটিক্স ইত্যাদি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে। সহকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলতে থাকলে নিজের কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। এমন জায়গায় কাজ করা উচিত নয় যা আপনাকে ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে, আপনার মানসিক শান্তি কেড়ে নেয়।

৪. চাকরি ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য না থাকা

যদি অফিসের পেছনেই দিনের সবটা সময় ব্যয় করতে হয় তবে ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছুই থাকবে না। এই ভারসাম্যহীনতা বড় বিরক্তি, হতাশা এবং ক্লান্তিকর অনুভূতির কারণ হতে পারে। ক্রমাগত দীর্ঘ সময় কাজ করা বা কাজের সময়ের বাইরে অতিরিক্ত কাজ মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। এই অভ্যাস মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

৫. অবমূল্যায়িত হলে

যখন আপনার কঠোর পরিশ্রম নিয়মিতভাবে উপেক্ষা করা হয় বা আপনাকে ন্যায্য অর্থ প্রদান করা না হয়, তখন বুঝে নেবেন সেখানে আপনাকের কাজের মূল্যায়ন নেই। যখন আপনার অবদান বিবেচনা করা হয় না, অতিরিক্ত কাজ করার পরও অসংখ্যবার পদোন্নতির জন্য উপেক্ষিত হন এবং কাজের তুলনায় বেতন সামান্য দেয় তখন তা ছেড়ে দেওয়াই উত্তম। কাজ এবং আপনি যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তার জন্য আপনার প্রাপ্য সম্মান পাওয়ার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়