প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৫২
ইতালিস্থ চাঁদপুর জেলা সমিতির জরুরি সভায় সদস্যদের বিভ্রান্তি না হতে আহ্বান
ইতালির রোমে চাঁদপুর জেলা সমিতির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার ১৫ সেপ্টেম্বর প্রেনেসতিনার একটি বারে স্থানীয় সময় বিকেলে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দীন মানিকের সভাপতিত্বে সাবেক এবং বর্তমান কমিটির একাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
|আরো খবর
উপস্থিত সদস্যরা চাঁদপুর জেলা সমিতির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে একটি বিষয়ে খুব গুরুত্ব দেওয়া হয়। সম্প্রতি চাঁদপুর জেলা সমিতি নিয়ে এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল সমিতিকে দ্বিধা বিভক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা কোনো সুচিন্তার মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। উপস্থিত সদস্যরা এহেন চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান করে সবাইকে একই ছাতার নিচে চাঁদপুর জেলা সমিতির হাল ধরতে সদিচ্ছা লালন করতে বলা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন,খাজা আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়াজী, সাজ্জাদ হোসাইন,
রেজাউল করিম লিটন, জহিরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, রিংকু পাল, খায়রুল আলম, শেখ সাদি প্রমুখ।
সভায় মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়াজী চাঁদপুর জেলা সমিতির ইতিহাস তুলে ধরে বলেন,২০১০ সালে চাঁদপুর জেলাবাসীর সর্বসম্মতিক্রমে সুন্দর একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে এগিয়ে যাওয়া সংগঠনটির নির্বাচিত সভাপতি হন নাসির উদ্দীন মানিক ও সাধারণ সম্পাদক হন আবুল কাশেম পাটোয়ারী। রোববারের জরুরি সভায় এই সাধারণ সম্পাদকের অ-সাংগাঠনিক কাজের জন্যে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার পদে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম লিটনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মোয়াজ্জেম বলেন, দুর্ভাগ্যবশত এক শ্রেণীর কিছু মানুষ সংগঠনকে বিতর্কিত করার জন্যে চাঁদপুরের সম্মান ক্ষুণ্ন করতে এই পর্যন্ত তিনটি কমিটি প্রকাশ করেছেন, যার কোনো ভিত্তি নেই। এমনকি চাঁদপুর জেলাবাসীর কেউ তা মেনে নেয়নি। তাই আমরা উদাত্ত আহ্বান করবো, দলমত নির্বিশেষে চাঁদপুর জেলা সমিতির ঐক্যের স্বার্থে বিভেদ ভুলে বর্তমান কমিটিকে মেনে নতুন কোনো সংস্কার থাকলে তাতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সব সময় খোলা রয়েছে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা কোনো কোন্দল চাই না, সবাই একসাথে পথ চলতে চাই। বর্তমান কমিটির মাধ্যমে নতুন কিছুর পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে, সেজন্যে একটু সহনশীল হওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে বর্তমান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিটন বলেন, সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হলে সবাই একে অপরের প্রতি আন্তরিক হতে হবে। তাছাড়া কমিটি নিয়ে নতুন কিছু করার চিন্তা থাকলে সবাইকে একই ছাতার নিচে আসার কোনো বিকল্প নেই। তাই হিংসা বর্জন করে ভ্রাতৃত্বের প্রেম লালন করতে হবে। তবেই নতুন প্রত্যাশার আলো ও আশার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সাংগঠনিক নিয়মের প্রতি সম্মান বজায় রেখে চলা উচিত।