প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:২৩
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে স্বাবলম্বী কৃষক আব্দুল গফুর
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের স্বাবলম্বী আব্দুল গফুর। মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা জাহানাবাদ গ্রামের স্বাবলম্বী কৃষক আব্দুল গফুর সকলের প্রিয় একজন সফল কৃষক হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন।স্বাবলম্বী কৃষক আব্দুল গফুর এ প্রতিনিধিকে জানান,ছোটবেলা হতেই অভাবের সংসারে বড় হওয়ায় তিনি কৃষি কাজে নিয়োজিত হতে বাধ্য হয়েছিলেন ,কারণ তার নিজস্ব কোন জায়গায় জমি ও বাসস্থান ছিল না। অন্যের বাড়িতে বসবাস করে অপরের জমিতে হাল চাষ করে যে আয় হত সে আয় দিয়েই কোন রকমে চল তো । এই আয়এর টাকায় তাকে বিয়ে-শাদী করতে হয় এর মধ্যেই ঘর আলো করে তাদের ঘরের জন্ম নেয় তিনটি কন্যা সন্তান ও একটি পুত্র ।
|আরো খবর
শত কষ্টের মাঝেও এ আয়ের কিছু অংশ সঞ্চয় করে রাখতেন।এরপর কিছু টাকা সঞ্চয় হলে সে টাকার সাথে ব্যাংক ঋণ নিয়েএকমাত্র পুত্রকে বিদেশ পাঠান। নিজের আয় ও পুত্রের আয় দিয়ে প্রথমে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেন এরপর কিছু জমি কিনে সে জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি মাছ চাষের উদ্যোগ নেন। বাকি জমিতে সবজি চাষ করেন।অক্লান্ত শ্রমের ফলে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে ।তিনি তার জমির ধান, মাছ ও সবজি বিক্রি করে প্রবাসী একমাত্র পুত্রের আয়ের অর্থ দিয়ে জমি ক্রয় করে করে বাসস্থান নির্মাণ করেন ,এছাড়াও গড়ে তুলেন একটি রাইস মিল ,একটি অটো রিক্সা গ্যারেজ যাতে রয়েছে তার চারটি অটোরিকশা তিনি তার প্রবাসী ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার তৈরি কৃত গ্যারেজ অটোরিকশা ওরাইস মিল
পুত্রের নিকট নিকট হস্তান্তর করে দেশেই বাণিজ্য করার কথা বললে ছেলে প্রবাস জীবন ছেড়ে পিতা প্রস্তাব মেনে নেন।
আব্দুল গফুর জানান,তিনি ছেলেকে সকল দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েও তিনি অবসরে নেই। তিনি নিয়মিত ধান , মাছ ও সবজি চাষ করছেন ,প্রতিবছর ধান চাষ করে যে ধান উৎপাদন করছেন তা দিয়ে তার সংসারের সারা বছর চলার পরেও যা উদ্বৃত্ত ধান থাকে তা বাজারে বিক্রি করেন।
এছাড়া নিয়মিত সবজি বিক্রি করে প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকা আয় করে থাকেন। ইতিমধ্যে তিনি তার তিন কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন কন্যারাও ঘর সংসার নিয়ে সুখে আছেন।