রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

সংগীত নিকেতনের ছাত্রী পূরবী দে সিমন্তির অসাধারণ কৃতিত্ব

জাতীয়ভাবে পেলেন অনন্য মান, যেটি ১০ বছর পর সারাদেশের মধ্যে একমাত্র তার অর্জন

সংগীত নিকেতনের ছাত্রী পূরবী দে সিমন্তির অসাধারণ কৃতিত্ব
বিমল চৌধুরী ॥

চাঁদপুর সংস্কৃতি অঙ্গনে অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রাখলেন চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী পুরানো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান সংগীত নিকেতনের ছাত্রী পূরবী দে সিমন্তি। চত্বারিংশ জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন ১৪২৯-এর রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতায় জাতীয়ভাবে অনন্য মানপ্রাপ্ত হয়ে চাঁদপুরের মুখ উজ্জ্বল করেছেন, জেলাবাসীকে করেছেন গর্বিত।

দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই প্রথমবারের মত চাঁদপুরের কোনো সন্তান সংস্কৃতি অঙ্গনে এমন বিরল কৃতিত্ব অর্জন করলেন। যা চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনের জন্যে এক বিরল সম্মান ও মর্যদার বিষয়। ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের মেয়ে এমন কৃতিত্ব অর্জন করায় গত ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় চাঁদপুর সংগীত নিকেতন প্রাণঢালা সংবর্ধনা প্রদান করে তাদের এই কৃতী প্রিয় ছাত্রীকে। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সংস্কৃতি অঙ্গনের শিল্পী ও কলাকুশলীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে সংগীত নিকেতনের নিজস্ব কার্যালয়ের চন্দ্রকান্ত সাহা মিলনায়তনে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও সংগীত নিকেতনের সভাপতি কামরুল হাসান তাঁর প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী জাতীয়ভাবে অনন্য মানপ্রাপ্ত পূরবী দে সিমন্তির হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় পুরো হলরুম তুমুল করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে। উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা প্রকাশ করেন তাদের আনন্দানুভূতি, আর মনে মনে প্রকাশ করেন ‘তোমার এই প্রাপ্তিতে আমরাও খুশি এবং কামনা করি তোমার অগ্রযাত্রা’।

বিরল সম্মানে ভূষিত প্রচারবিমুখ এই গুণী শিল্পীর মুখোমুখি হয়েছিলাম তার পিতার শহরস্থ ভাড়াকৃত বাসভবনে। যেখানে মা-বাবা-দাদার সাথে একত্রে বাস করেন পূরবী দে সিমন্তি।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পক্ষ থেকে জানতে চেয়েছিলাম তার এই অসামান্য কৃতিত্বের কথা। জানতে চেয়েছিলাম তার শিল্পী হওয়ার পেছনে কাদের অবদান রয়েছে এমনি নানান ধরনের কথা। কিন্তু প্রথমে মুখ খুলতে রাজি হননি। পত্রিকায় প্রকাশ হোক তাও তিনি চাননি। কাছে থাকা তার বাবা-মাকেও অনুরোধ জানালাম মেয়ের কৃতিত্বপূর্ণ কিছু কথা তুলে ধরার জন্যে। কিন্তু তারাও রাজি না হওয়ায় শরণাপন্ন হলাম সংগীত নিকেতনের গর্বিত অধ্যক্ষ, অত্যন্ত বিনয়ী, চাঁদপুর সংস্কৃতি অঙ্গনসহ সকল মহলে যিনি সমানভাবে পরিচিত সেই ব্যক্তিত্ব স্বপন সেনগুপ্তের। লক্ষ্য ছিল অধ্যক্ষ মহোদয়ের কথায় যদি কাজ হয়। অবশেষে অধ্যক্ষের কথায় সিমন্তি ও তার পরিবার কথা বলতে রাজি হলো।

প্রথমেই দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের পক্ষ থেকে সিমন্তিসহ তার পরিবারকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানালাম তার এই কৃতিত্বপূর্ণ অর্জনের জন্যে। প্রতি উত্তরে তারাও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন চাঁদপুরের জননন্দিত পাঠকপ্রিয় পত্রিকা চাঁদপুর কণ্ঠকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সংগীত নিকেতনের কার্যক্রম প্রকাশ করার জন্যে। সিমন্তির সাথে আমার কথোপকথন নিচে তুলে ধরা হলো :

চাঁদপুর কণ্ঠ : সিমন্তি কখন থেকে তুমি রবীন্দ্র সংগীত চর্চা শুরু করো?

সিমন্তি : আমি খুব ছোট অবস্থায় সম্ভবত ৪/৫ বছর বয়স হতেই গান গাইতে চেষ্টা করি। প্রথমে লোকগীতি দিয়ে আমার যাত্রা শুরু, পরবর্তী সময় প্রায় ৭ বছর বয়স থেকে রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত চর্চা শুরু করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : তুমি কার কার কাছ থেকে সংগীতে তালিম নিয়েছ, অর্থাৎ সংগীত শিক্ষায় তোমার গুরু কে?

সিমন্তি : সংগীত চর্চায় আমার প্রথম গুরু হলেন আমার পিতা বিমল চন্দ্র দে। তিনি একজন সংগীতপ্রিয় মানুষ, তিনি নিজেও সংগীত চর্চা করেন এবং সরকারি চাকুরির পাশাপাশি চাঁদপুর সংগীত নিকেতনে শিক্ষকতা করেন। তাঁর কাছেই আমার প্রথম হাতে খড়ি। তাঁর ইচ্ছেতেই আমি প্রথম হারমোনিয়ামের রিডে আঙ্গুল রাখি। পরবর্তী সময় খুব সম্ভবত সাত বছর বয়সে আমি সংগীত নিকেতনে গিয়ে নিয়মিত চর্চা করি। সেখানে শ্রদ্ধাভাজন অধ্যক্ষ স্বপন সেনগুপ্তসহ অন্য শিক্ষকদের কাছে তালিম নেই। এছাড়াও রয়েছে পুরাণবাজারের অনিক নন্দী আর আমার মা। আমার মা একজন নিয়মিত শিল্পী না হয়েও রবীন্দ্র সংগীত সম্পর্কে তাঁর যথেষ্ট ধারণা রয়েছে। বাড়িতে আমি যখন রেওয়াজ করতাম, মা তখন পাশে বা কাছে থাকতেন এবং রেওয়াজে কোনো ভুল হলে তাৎক্ষণিক তিনি তা শুধরে দিতেন। মায়ের এই সহযোগিতা আমার সংগীত সাধনাকে উৎসাহে পরিণত করেছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অনন্য মানপ্রাপ্তিতে তোমার প্রতিক্রিয়া কী?

সিমন্তি : আমি আশাবাদী ছিলাম রবীন্দ্র সংগীতে ভালো কিছু অর্জন করবো, কিন্তু অতোটা ভালো করবো তা ভাবি নি। কারণ বিগত কয়েক বছর যাবৎ জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলনের রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতায় জাতীয়ভাবে কেউ অনন্য মানপ্রাপ্ত হননি। আমার পাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। আর যখন চাওয়া আর পাওয়া এক হয়ে গেলো তখন অনুভূতি বা আনন্দ কেমন হতে পারে তা অবশ্যই বুঝে নিবেন। তবে এই প্রাপ্তি আমার একার নয়, এই প্রাপ্তি আমার বাবা, মা, সংগীত নিকেতনসহ চাঁদপুর জেলাবাসীর। এদের সহযোগিতা আর আশীর্বাদ ছিল বলেই আমি অনন্য মান পেয়েছি বলে আমার বিশ্বাস।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে তুমি আর কতোটুকু যেতে চাও?

সিমন্তি : এ বিষয়ে যতোটুকু যাওয়া যায় ততোটুকু যেতে চেষ্টা করবো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : রবীন্দ্র সংগীত ছাড়া আর কী কী বিষয় চর্চা করো?

সিমন্তি : আমি পঞ্চকবি অর্থাৎ রবীন্দ্র, নজরুল, অতুল প্রসাদ, রজনীকান্ত ও দ্বিজেন্দ্র লাল রায়ের গান করে থাকি। এছাড়াও সময়-সুযোগ পেলে ছবি আঁকতে চেষ্টা করি। ছবি আঁকতে আমার বেশ ভালো লাগে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : তোমার সাফল্যে কার কার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান রয়েছে বলে মনে করো?

সিমন্তি : এক্ষেত্রে আমি প্রথমেই আমার বাবার কথা বলবো। তিনিই আমার সংগীতের হাতে খড়ি দিয়েছেন, যা আমি শুরুতেই বলেছি। আরো অবদান রয়েছে সংগীত নিকেতনের শ্রদ্ধেয় অধ্যক্ষ স্বপন সেনগুপ্ত, শিক্ষক বাবুল চক্রবর্তী, শংকর আচার্য, সৈকত সাহাসহ শিক্ষকম-লী ও আমার মা গৌরী দের।

মেয়ের এই ধরনের সাফল্যে গর্বিত পিতা বিমল চন্দ্র দে জানান, আমার খুব ইচ্ছে ছিল আমার ছেলেমেয়েরা উচ্চমানের সংগীত শিল্পী হবে। তাই ছেলে-মেয়েকে আমি নিজেই সংগীতে তালিম দিতে চেষ্টা করি। সিমন্তি খুব ছোটকাল থেকেই অর্থাৎ ৪/৫ বছর বয়স থেকেই গাইতে শুরু করে। প্রথম অবস্থায় সে লোকসংগীত গাইতো। খুব সম্ভবত ৭ বছর বয়স থেকে তাকে চাঁদপুর সংগীত নিকেতনে ভর্তি করিয়ে দেই। এখানেই সে রবীন্দ্র সংগীতের ওপর তালিম নিতে শুরু করেন। পাশাপাশি আমিও তাকে তালিম দিতে চেষ্টা করি। আমাদের সকলের সহযোগিতা ও তার আন্তরিক একাগ্রতার কারণেই সে আজ এই সফলতা অর্জন করেছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি চাই সে একজন ভালো মনের মানুষ হোক এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে তার এই প্রতিভাকে উৎসর্গ করুক। তিনি তার মেয়ে সিমন্তির অনন্য মানপ্রাপ্তিতে গর্ববোধ করে বলেন, অনেক বড় প্রতিভার স্বীকৃতি হলো অনন্য মান। মেয়ের এই প্রাপ্তি শুধু আমার পরিবারেরই নয়, এই প্রাপ্তি চাঁদপুর জেলাবাসীর। আমার প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাস ছিলো, আমার মেয়ে সিমন্তি সংগীতে ভালো কিছু অর্জন করবে। তার এই ভালো কিছু অর্জন করায় তিনি সংগীত নিকেতনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পূরবী দে সিমন্তির এমন অভূতপূর্ব সাফল্যের গর্বিত নায়ক, জেলার প্রাচীন সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম মাধ্যম চাঁদপুর সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ স্বপন সেনগুপ্তের মুখোমুখি হলে তিনি জানান, আমরা সংগীত নিকেতন তাকে পথ দেখিয়েছি শুধু। তার বাইরে যা হয়েছে তা সিমন্তির প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ। আমি আশা করি সিমন্তি নিয়মিত সংগীত চর্চা অব্যাহত রাখবে এবং সে দেশের একজন প্রখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হওয়ার গৌরব অর্জন করবে। তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সিমন্তি দে তাঁরই হাত ধরে প্রতিভার যে স্বাক্ষর রেখেছেন, তাতে তিনি নিজেকে অত্যন্ত গৌরবান্বিত মনে করে আরো বলেন, কিছু কিছু মানুষ বিরল প্রতিভা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। সিমন্তি দেও তাদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন, সিমন্তি খুব ছোট অবস্থায় যখন গান গাইতো, তখনই মনে হতো সংগীতে অভিজ্ঞতাসস্পন্ন কেউ সংগীত পরিবেশন করছে। তার উপস্থাপন, তাল, লয় ও উচ্চারণে আমি মুগ্ধ হতাম। আর তখন থেকেই মনে হতো, সে একদিন সংগীতে ভালো কিছু অর্জন করবে। আজ আমার সেই ইচ্ছে পূরণ হওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। তার ভেতর সংগীতের একটা প্রতিভা বিরাজ করছে, সে তার এই প্রতিভা নিয়ে অনেক দুর এগিয়ে যাবে, তার সফলতায় গৌরবান্বিত হবে তার পরিবার, গৌরবান্বিত হবে চাঁদপুর সংগীত নিকেতন। তিনি আরো বলেন, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের মাধ্যমে যখন খ্যাতিমান রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ড. ওয়াহিদুল হক, ড. সানজিদা খাতুন, মিতা হক, নীলোৎপল সাধ্য, লিসা আহম্মদ প্রমুখ রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী চাঁদপুর আসেন, তখন সংগীত নিকেতনের মাধ্যমে তাদের সান্নিধ্য পায় পূরবী দে সিমন্তি। তখন থেকেই সিমন্তি রবীন্দ্র সংগীত চর্চায় আরো অধিক আগ্রহী হয়ে উঠে।

অনন্য মান সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ স্বপন সেনগুপ্ত বলেন, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের মাধ্যমে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সিমন্তি প্রথম পর্যায়ে চাঁদপুরে বিজয়ী হন, পরে জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম মানে প্রথম হন এবং রবীন্দ্র সংগীতের ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর শেষে বিচারকদের সিদ্ধান্তক্রমে অনন্য মানপ্রাপ্ত হন। চাঁদপুরের ইতিহাসে সিমন্তিই এই অনন্য মানপ্রাপ্তির সর্বপ্রথম গৌরব অর্জন করে। বিগত ১০ বছরের মধ্যে দেশের কেউই এই অনন্য মান প্রাপ্ত হয়নি বলেও তিনি জানান।

অত্যন্ত মেধাবী ও বিরল প্রতিভার অধিকারী এই গুণী শিল্পী পূরবী দে সিমন্তি ২০০৩ সালের ২৪ জুন চাঁদপুর জেলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বিমল চন্দ্র দে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কর্মরত ও মা গৌরী দে চাঁদপুর ওয়াইডব্লিওসিএতে শিক্ষকতা পেশায় কর্মরত রয়েছেন। ১ ভাই ১ বোনের মধ্যে সিমন্তি দে ছোট। তার বড় ভাই ডাঃ সৃজন দেও একজন প্রতিভাবান সংগীত শিল্পী এবং ছায়ানটের ছাত্র। বর্তমানে সে ঢাকা ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নি করছে। সিমন্তি বর্তমানে ঢাকাস্থ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিষয়ে স্নাতক সম্মান শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। সিমন্তি চাঁদপুর সংগীত নিকেতনের ছাত্রী হিসেবে সংগীতের স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় কিশোর বিভাগে চূড়ান্ত পর্যায়ে পরপর ২ বার যথাক্রমে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে প্রথম মানে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এছাড়াও ২০১৫ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র সংগীতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ সালে জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র সংগীতে (খ বিভাগ) শ্রেষ্ঠ বিভাগীয় স্বীকৃতি লাভ করেন। সর্বশেষ চত্বারিংশ জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মেলন ১৪২৯-এর রবীন্দ্র সংগীত প্রতিযোগিতায় জাতীয়ভাবে অনন্য মানপ্রাপ্ত হন। চাঁদপুর সংগীত নিকেতন তাদের এই প্রিয় শিক্ষার্থীর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়