বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ২৩:০৬

মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর টর্চার সেলই এখন বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র

উজ্জ্বল হোসাইন
মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর টর্চার সেলই এখন বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র

পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া এই তিন নদীর মিলনস্থল চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মোলহেড এলাকা। এর পশ্চিম দিকে একটু এগুলেই বিস্তৃত পদ্মা নদী (যা হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে উৎপন্ন গঙ্গা নদী)। রাজশাহী জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর নদীটি পদ্মা নাম ধারণ করে। গঙ্গার অন্য শাখাটি ভাগীরথী নামে ভারতের হুগলীর দিকে প্রবাহিত হয়। মোলহেডের দক্ষিণে চাঁদপুর শহরের কোল ঘেঁষে ডাকাতিয়া নদী। এ নদীটি মেঘনার উপনদী। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে ডাকাতিয়া কুমিল্লা জেলার বাগমারা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নদীটি কুমিল্লা-লাকসাম-চাঁদপুর হয়ে মেঘনা নদীতে মিশেছে। যা লক্ষ্মীপুরের হাজিমারা পর্যন্ত বিস্তৃত। ডাকাতিয়ার প্রধান ধারা চাঁদপুর শহরকে দু ভাগে ভাগ করেছে।

বরাক নদীর উৎপত্তি আসামের লুসাই পাহাড়ে। নদীটি সিলেট জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এটি ২টি শাখা নদীতে বিভক্ত হয় সুরমা এবং কুশিয়ারা নামে। সুরমা এবং কুশিয়ারা সিলেটের আজমিরীগঞ্জে মিলিত হয়ে নাম হয় কালনি, কালনি ভৈরববাজারের নিকট এসে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নামে দক্ষিণ-পশ্চিমে যায়। পদ্মা চাঁদপুরে এই মেঘনার সাথে মিলিত হয়। তারপর মিলিত স্রোতধারা মেঘনা নামে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এই তিন নদীর মিলনস্থলেই এখন চাঁদপুরের সবচে’ জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বড় স্টেশন এলাকা। বর্তমানে এটি ‘মোলহেড’ নামেই বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। তিন নদীর মিলনস্থলে সূর্যাস্তের দৃশ্য, ছোট ছোট নৌকার ভেসে চলা, নদীর কূলে পানি আছড়ে পড়ার শব্দ অনেক পর্যটকের সারাজীবন মনে রাখার জন্যে যথেষ্ট।

বর্তমানে মোলহেডের যে স্থানে ইলিশ ভাস্কর্য অবস্থিত সেখান থেকে সামান্য দক্ষিণ-পশ্চিমে ছিলো বড় স্টেশন মাছঘাট। তার পূর্ব পাশেই মাছঘাটের সাথে ছিলো রকেট স্টীমার ঘাট ও চাঁদপুর নদী বন্দরস্থ লঞ্চঘাট। বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র চাঁদপুরেই ছিলো এক সাথে লঞ্চঘাট-স্টীমার ঘাট-রেলওয়ে স্টেশন। তাই এই স্থানটি অনেক বেশি জমজমাট ছিলো, যা সত্যিই বিরল।

চাঁদপুর বড় স্টেশনে আকস্মিকভাবে ২০০১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোরের সূর্য ওঠার আগেই ভয়াল ভাঙ্গন বিপর্যয় শুরু হয়। যে ভাঙ্গন চলে টানা ২১ ঘণ্টা। এতে রেল স্টেশন, বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ টার্মিনাল ভবনের পশ্চিমাংশ, পন্টুনমুখী গ্যাংওয়ে, রেলওয়ের ওভার ব্রিজ, রেল লাইন, স্টিমার ঘাট, এ ঘাটের সম্মুখস্থ ১২টি হোটেল-রেস্তোরাঁ ও স্টেশনারী দোকান, ট্রান্সফর্মারসহ ৫টি বৈদ্যুতিক খুঁটি, ১টি বরফ কল, ১০০টি মাছের আড়ত, হাজার হাজার কংক্রিট ব্লক ও ৬টি বড় গাছ বিলীন হয়ে যায়। এর ফলে বর্তমান মোলহেডের পূর্বাংশে অর্থাৎ নদীগর্ভে বিলীন হওয়া স্টেশন প্ল্যাটফর্মের সামনে বিশাল পুকুরের ন্যায় অবস্থা তৈরি হয়। পরদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুজন উপদেষ্টা, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টের জিওসি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রেলওয়ের শীর্ষস্থানীয় সকল কর্মকর্তাসহ অসংখ্য কর্মকর্তা পরিদর্শনে আসেন। পরে ড্রেজিং করে বালি দিয়ে বিশাল পুকুরের ন্যায় স্থানটি ভরাট করা হয় এবং শহর রক্ষা বাঁধের বেষ্টনী দিয়ে বড় স্টেশনের বিলীন হয়ে যাওয়া মূল স্থাপনাসহ পশ্চিমাংশকে মোলহেডে পরিণত করা হয়।

রেলওয়ের ‘চাঁদপুর’ নামক স্টেশনই আঞ্চলিকভাবে বড় স্টেশন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত জেলার প্রধান ও লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথের সর্বশেষ রেলওয়ে স্টেশন এটি। ১৮৯২ সালে গঠিত আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি এদেশে রেলপথ নির্মাণের দায়িত্ব নেয়ার পর ১৮৯৫ সালের ১ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা ১৫০ কি.মি. মিটারগেজ লাইন এবং লাকসাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত ৬৯ কি. মি. অনুরূপ রেললাইন খোলা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বড় স্টেশনটি ছিলো বধ্যভূমি। এখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা হাজার হাজার মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিতো। স্বাধীনতার চার দশক পর শহীদদের রক্তমাখা এ স্থানটির ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় এখানে ‘রক্তধারা’ নামক স্মারক ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। এটির ইতিহাসও জানে না নতুন প্রজন্মের অনেকেই। উপরন্তু মোলহেড এলাকায় বিভিন্ন সময় হয়েছে মেলা, উৎসব, নাচ-গান। এক সময় এ স্থানটি গাজী সাহেবের আস্তানা নামে বেশ পরিচিত ছিলো। এখানে তখন ছোট্ট একটি ঘর ছিলো। বিভিন্ন শ্রেণির সাধু সন্ন্যাসীর সমাগম ঘটতো এখানে। তখন এখানে ভাদ্র বা আশ্বিন মাসে ভেলা ভাসানো হতো এবং হাজারো মানুষের সমাগম ঘটতো। এ স্থানটির ইতিহাস জানান দেয়ার ব্যবস্থা না করায় এ স্থানটিকে জেলা এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পর্যটকরা জানতো একটি নৈসর্গিক বিনোদনকেন্দ্র তথা পর্যটন স্পট হিসেবে। তরুণ-তরুণীদের কাছে এটি একটি ডেটিং স্পট। দিন-রাত যে কোনো সময়ই এখানে বহু মানুষের সমাগম ঘটে।

চাঁদপুরের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র মোলহেডে তিন নদীর দৃশ্য অবলোকন করতে ভ্রমণপ্রেমী সাধারণ মানুষজন চাঁদপুরসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে আসেন। তাই চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা মোলহেডকে আধুনিকায়ন ও দর্শনীয় করার উদ্যোগ নেয়।

এই স্থানটি বেশি জনপ্রিয়তা পায় জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের সময়ে। তিনি জেলা প্রশাসক থাকাকালীন বাংলাদেশে জেলা ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম শুরু হয়। তাঁর দূরদর্শী চিন্তা থেকেই জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের প্রধান স্থান হিসেবে এই বড় স্টেশন মোলহেড গুরুত্ব পায়। তাঁর চিন্তায় এই বড় স্টেশনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্যে জেলা ব্র্যান্ডিং কমিটি নানা রকম প্রস্তাবনা দেয়। তার মধ্যে ইলিশ ভাস্কর্য, চাঁদপুরকে দূর থেকে চেনার জন্যে চাঁদপুর আই (বাস্তবায়ন করা হয়নি) নামে স্থাপনা করার প্রস্তাবনাও ছিলো। জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল চাঁদপুরের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন কীভাবে একটি জেলাকে বাংলাদেশের মধ্যে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা যায়। তাঁর সময়ে অনেক কাজ বাস্তবায়ন করেন। ২০১৪ সালে ঢাকায় জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে চাঁদপুরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ ও তা নির্মাণের প্রতিবন্ধকতার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল। পরবর্তীতে তিনি একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় রেল মন্ত্রণালয় ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যকার ভূমিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব দেন। সভায় দীর্ঘ আলোচনার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পর্যটন করপোরেশনকে ভূমি স্থানান্তর করার একটি সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে পর্যটন করপোরেশনের প্রতিনিধি দল চাঁদপুর মোলহেড সরেজমিন পরিদর্শন করে ‘রক্তধারা’ স্মৃতিস্তম্ভের পর থেকে নদীর তীর পর্যন্ত ১.০৬ একর জমি নির্ধারণ করে তাতে ‘রিভারভিউ ফুড কোর্ট’ নামে আধুনিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। পর্যটন করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরে তিন নদীর মিলনস্থলে একটি পর্যটন কেন্দ্র করার লক্ষ্যে ২০১৪ সালে প্রায় এক একর জায়গা চেয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের কাছে তারা লিখিত আবেদন করে। বিষয়টি নিয়ে আর অগ্রগতি হয়নি তখন। দুই মন্ত্রণালয়ের অনেক চিঠি চালাচালির পর অবশেষে রেল মন্ত্রণালয় নিজেরাই এখানে একটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে। এর পূর্বে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর মোলহেডের দৃষ্টিনন্দন জায়গাটি অন্য কোনো মন্ত্রণালয়কে স্থানান্তর না করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়।

সরকারের ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা এই স্থানটি পরিদর্শন করে দিয়ে গেছেন নানা রকম প্রস্তাবনা। যতটুকু জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির প্রচেষ্টায় রেলওয়ে বিভাগ পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থলের বড়স্টেশন মোলহেডের জায়গাটিকে ইলিশকেন্দ্রিক আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে রূপ দিতে যাচ্ছে। মোলহেডে নদীতীর সংরক্ষণ করে সৌন্দর্য বর্ধন, রিভার ভিউ টাওয়ার ও চলাচলের রাস্তা করা হবে বলে রেল বিভাগ জানিয়েছে। এক কোটি বারো লাখ টাকা ব্যয়ে এসব কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন মোলহেডের পুরো চত্বরটিকে ‘বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র’ নামকরণ করে কেন্দ্রের প্রবেশ পথে একটি গেট নির্মাণ করেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টও এখানে বঙ্গবন্ধুর নামে পর্যটন কেন্দ্র করার অনুমোদন দিয়েছে। সেমতে জেলা প্রশাসন ও পৌর প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে বড় স্টেশন মোলহেড স্থানকে বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র নামকরণ করে পর্যটন অঞ্চল ঘোষণা করা হয়। জেলা ব্র্যান্ডিং কমিটি মোলহোডের প্রবেশ পথের সামনে ‘সেলফি স্ট্যান্ড’ নামে ইলিশ ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে।

চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ভ্রমণপিপাসু মানুষ নিরিবিলি পরিবেশে পরিবার নিয়ে একান্ত কিছু সময় কাটাতে বড় স্টেশন মোলহেডে আসেন। পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া তিন নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করাটাই থাকে তাদের উদ্দেশ্য। শহরের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রটি অস্থায়ী বহু ভ্রাম্যমাণ দোকান, পথশিশু, ভিক্ষুক আর হকারের দখলে এখন। এসব কিছুর জন্যে বিড়ম্বনায় পড়ছেন পর্যটকরা। মোলহেডে প্রায় ১শ’ ভিক্ষুক ও পথশিশু ভিক্ষা করছে। তারা পর্যটকদের টাকা দেয়ার জন্যে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। কেউ যদি টাকা দিতে না চায় তাহলে তাদের হাত-পা ধরে টানাটানি করছে অথবা কাপড় টেনে ধরছে। এদের একজনকে টাকা দিলে তার কাছে আরো অনেকে এসে হাজির হচ্ছে। এছাড়াও হকারদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় পর্যটকদের বসার জায়গাটুকুও থাকে না। এসব দোকানী বসার স্থানগুলোও দখল করে রাখে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানী জানান, এজন্যে তারা দৈনিক বা মাসিক হিসেবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের টাকা দিয়ে যাচ্ছে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটি আরো বেশি পর্যটক-আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে পরিচিত পাবে-এটা সচেতন মহলের দাবি।

মোলহেডে স্থাপিত ‘রক্তধারা’ সংরক্ষণ এবং এই স্থানটিতে অস্থায়ী বাজারের ন্যায় যে সমস্ত দোকান রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করে পুরোপুরি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রূপ দিতে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে রেল কর্তৃপক্ষ--এমন দাবি চাঁদপুরের সুধী সমাজের।

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়