শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৩, ২৩:৪৬

রাতে চলন্ত লঞ্চ থেকে পড়ে ৯ ঘন্টা নদীতে ভেসেও বেঁচে গেলেন এক নারী!

রাতে চলন্ত লঞ্চ থেকে পড়ে  ৯ ঘন্টা নদীতে ভেসেও  বেঁচে গেলেন এক নারী!
মিজানুর রহমান

রাতের বেলায় অসাবধানবশত চলন্ত লঞ্চ থেকে মেঘনা নদীতে পড়েও ৯ ঘন্টা ভাসতে ভাসতে অলৌকিক ভাবে বেঁচে গেছেন জোহরা বেগম(৩৮) নামে এক নারী।  বৃহস্পতিবার (৪ মে ) সকালে ৯৯৯ এ কলের সূত্র ধরে জেলেদের সহয়তায় ওই নারীকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার ঠান্ডাবাজার এলাকা থেকে জীবিত উদ্ধার করে চাঁদপুর কোস্টগার্ড।তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছেন স্বজনরা।

কোস্টগার্ড সূত্র জানায়,  বুধবার রাতে গোসাইরহাট উপজেলা সদরের পট্টি লঞ্চঘাট থেকে ঈগল-৩ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ওই লঞ্চের যাত্রী ছিলেন মাইঝারা গ্রামের জহিরুল ইসলাম, তার স্ত্রী জোহরা বেগম ও তাদের এক ছেলে।লঞ্চটি কোদালপুর এলাকায় পৌঁছালে রাত সাড়ে ১১টার দিকে জোহরা বেগম লঞ্চ থেকে অসাবধানবশত মেঘনা নদীতে পড়ে যান। তার সঙ্গে থাকা স্বজনেরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চান। তখন চাঁদপুরের হাইমচরের কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ ও গোসাইরহাট থানার পুলিশ ওই নারীকে মেঘনা নদীতে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মেঘনা নদীর ঠান্ডার বাজার এলাকার একটি চর থেকে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই নারীর পা ভেঙে যাওয়ায় স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেছেন।

লঞ্চে থাকা ওই নারীর স্বামী জানান, তারা রাত ১০টার দিকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য গোসাইরহাট কুচাইপট্রি থেকে ওই লঞ্চে ওঠেন।লঞ্চটির দোতলার ২০২ নম্বর কেবিন ভাড়া নেন তারা। লঞ্চে ওঠার পর তার স্ত্রী পানের সঙ্গে জর্দা খাওয়ায় মাথা ঘুরায় বলে জানায়। এরপর পানি খেতে চাইলে বোতলে থাকা পানি দেন। মুখের পানি কুলি করে ফেলতে গিয়ে মাথা ঘুরিয়ে হঠাৎ নদীতে পড়ে যান। তাৎক্ষণিক লঞ্চটি থামিয়ে দুই ঘণ্টা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে লঞ্চটি ঢাকা চলে যায়। স্বামী নিজেও পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন।

লঞ্চের কেবিন বয় মো. বিল্লাল বলেন, এক যাত্রী পড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে লঞ্চটি অনেকক্ষণ সেখানে নোঙর করে রেখে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু নিখোঁজের সন্ধান না পেয়ে তারা যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেন। ঘটনাস্থলে লঞ্চের লোক রেখে যাই আমরা।

গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মেঘনা নদীতে লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া নারীকে বৃহস্পতিবার সকালে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারী স্বামীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে থাকেন। ঈদে গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বুধবার রাতে লঞ্চে করে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে গোসাইরহাট থেকে নারায়ণগঞ্জে ফিরছিলেন তিনি।দীর্ঘ ৯ ঘন্টা নদীতে ভাসতে ভাসতে বেঁচে যাওয়া আমার কাছে অলৌকিক মনে হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়