ইতালিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় "শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে দিবসটি ব্যাপক আয়োজনে পালন করেছেন দূতাবাস। কর্মসূচির অংশ হিসেবে দূতাবাস প্রাঙ্গণে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭.০১ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২.০১ মিনিটে রোমে অবস্থিত আইজাক রবিন পার্কে স্থাপিত স্থায়ী শহীদ মিনারে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী ও পরিবারবর্গ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জানা গেছে,ভাষা শহীদদের সম্মানে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ইতালীয় সরকারের সহায়তায় রবিন পার্কে ২০১১ সালে স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীরাও শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকলের সামনে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় দূতাবাস আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাষ্ট্রদূত, এসময় মোঃ শামীম আহসান মাতৃভাষার অস্তিত্ব রক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মত্যাগকারী শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এদিবস পৃথিবীর সকল মাতৃভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়ার লক্ষে¨ একটি অনন্য ভূমিকা রাখছে বলে তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, ইউনেস্কোর মহাপরিচালকের বাণী পাঠ করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। শহীদদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। দূতাবাস সুত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বহু সংখ্যক দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে একটি বহুভাষিক ও বহুসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এই মাসের শেষ সপ্তাহে বিদেশী দর্শকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে।