প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২২, ১২:২৬
ইতালিতে শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
ইতালির রোমে যথাযথ মর্যাদায় শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। ৫ আগস্ট শুক্রবার ২০২২ রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও সংস্কৃতি অনুরাগী শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের এ জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।
|আরো খবর
দূতাবাস থেকে জানা যায়,আয়োজিত অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে ছিল শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রদূত ও কম্যুনিটির নেতৃবৃন্দের পুষ্পস্তবক অর্পণ,নীরবতা পালন, শেখ কামালের জীবনীভিত্তিক তথ্যচিত্র প্রদর্শন,আলোচনা সভা এবং
বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।
আলোচনা পর্বে রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান শহিদ শেখ কামালের জীবনের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য কর্মের উপর আলোকপাত করে বলেন,বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শেখ কামাল কেবল একজন দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি
ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের আধুনিক ধারার স্থপতি এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বহুমাত্রিক সাফল্যের বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে শেখ কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা ও
সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার বিশেষ অবদান রয়েছে বলে তা তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন শেখ কামালের জীবন ও কর্ম বাংলাদেশের
যুব সমাজের অফুরন্ত প্রেরণার উৎস হিসেবে আগামী দিনগুলোতে উৎসাহ যোগাবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রার কথা তুলে ধরে বিশ্বে একটি “মডেল রাষ্ট্র” হিসেবে স্বীকৃতির কথাও তুলে ধরেন।
দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানে ইতালির বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা ও নারী নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী স-শরীরে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় বক্তাগণ শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ
কামালের তারুণ্যদীপ্ত ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় উল্লেখ করে তার দেশপ্রেম,বহুমুখী প্রতিভা, দেশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারা শেখ কামালের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আগামীর উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিন শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দূতাবাসের অডিটোরিয়াম যথাযথাভাবে সাজানো হয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষভাগে শহিদ শেখ কামালসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম কল্যাণ) আসিফ আনাম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে সবাইকে আপ্যায়িত করা হয়।