প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ০৪:১৫
আসুন, করোনা মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হই-৯
করোনায় সারাদেশে মৃত্যুর মিছিল চলছে। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছে। এক ভয়াবহ বিপর্যয়ে দেশ। চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণ সারাদেশের গড়ের চেয়েও বেশি। এমতাবস্থায় আপনার ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের পক্ষ থেকে আপনি করোনা মোকাবেলায় বিশেষ করে মাস্ক পরিধান সহ স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় ছোট-বড় কী কাজ করতে চান কিংবা কী বলতে চান?'
|আরো খবর
নিজেদের সচেতনতা বাড়াতে হবে অন্যদেরকে সচেতন ভাবে চলার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।মোঃ জমির হোসেন একজন বে সরকারি চাকুরীজীবী।পাশাপাশি করোনা মহামারীর এই দুর্যোগ মুহুর্তে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোসহ মানুষকে সচেতন করার লক্ষে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এক্টিভিটিস চলমান রেখেছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠের উপরোক্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা সংক্রমনরোধে বালিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড এলাকার এক ঝাঁক তরুনদের নিয়ে আত তাকওয়া ফাউন্ডেশন করেছেন। এ সংগঠনের তিনি উদ্যোক্তা।তাদের দোয়া কবুলের গল্প নামের একটি ফেইসবুক গ্রুপও রয়েছে।এ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় এগারো লক্ষ।
তারা করোনা সচেতনতা বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায় নানা কর্মসূচি করে যাচ্ছেন। সদস্যদের মাধ্যমে সাধারন মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছেন। করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সচেতনতা এক্টিভিটিস চলমান রেখেছেন। রেল স্টেশন ও শহরের বড় স্টেশন মুলহেডের এলাকায়, পথে ঘাটে পড়ে থাকা অসহায় পথ মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন। এছাড়া তারা শীতকালে অসহায় মানুষদের শীতবস্ত্র কম্বলও দিয়েছেন এবং রোজার মাসে রোজাদারদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তাদের এই কার্যক্রম।
মোঃ জমির হোসেন বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং এই যে করোনার ভয়াবহতা চলছে এই সম্পর্কে মানুষকে সচেতন ও নিরাপদে থাকার বিষয়ে সর্তক করা না গেলে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।
জমির আরো বলেন, আমরা করোনাকে ভয় পাচ্ছি কিন্তু করোনা সৃষ্টিকারী আল্লাহকে ভয় পাচ্ছি না।আমাদের রক্ষা করার মালিক একমাত্র আল্লাহতালা,যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। তিনিই এ আজাব দিয়েছেন।ইনশাল্লাহ আল্লাহতালা এই আজাব থেকে আমাদেরকে হেফাজত করবে।