প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২১, ২০:৫৯
এতিম নামেই যত সমস্যা!
:
|আরো খবর
জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে একটি টিনের ঘর দিয়ে এতিম খানার কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে একটি চারতলা ভবন নির্মিত হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ হযরত আবু কবর ছিদ্দিকী আল-কোরাইশী ও পীর মোসলেউদ্দিন (রা:) এতিমখানায় সুনশান নিরবতা। ঈদের ছুটির কারণে এতিমরা তাদের বাড়ি গিয়েছে। এতিমখানার কেয়ারটেকার মিজানুর রহমান জানান, এই সুযোগে এতিমখানার উন্নয়নমুলক কিছু কাজ হচ্ছে।
এতিম খানার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, ১৯৯৮ সালে তিনি ফরিদগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এতিমখানাটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এতিম খানার কমিটিতে বর্তমান মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কাশেম কন্ট্রাক্টর এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক জড়িত রয়েছেন। আমাদের ব্যক্তিগত দান অনুদান এবং সরকারি অনুদান দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মাটি ভরাটসহ ক্রমান্বয়ে উন্নয়ন করে চলেছি। কিন্তু এতিম শিক্ষার্থী পাচ্ছি না। একের পর এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েও কাজে আসছে না।
আশপাশে বেশ কয়েকটি লিল্লাহ বোডিং না দিয়ে প্রতিষ্ঠানে অনেক এতিম রয়েছে। ফলে আমার কাছে মনে হয়েছে ‘এতিমখানা’ নামটিই সমস্যা। শুধু এটি নয় ইসলামপুরে স্থাপিত এতিমখানারও একই অবস্থা। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একটি হেফজুখানা গড়ে তুলবো। একই সাথে এই এতিম খানার পশ্চিম পাশে ৪৫শতক ভুমিতে একটি মহিলা এতিমখানা গড়ে তুলবো। দ্বীনের খেদমতে আমরা আমাদের চেষ্টা চােিলয়ে যাবো।