প্রকাশ : ১২ মে ২০২২, ২১:২৮
চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ : আহত ১০
কচুয়ায় অবস্থিত চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের কমিটি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের অফিস সংলগ্ন সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ দু’গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
|আরো খবর
আহতরা হচ্ছেন : উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম (৩২), ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র সমর্থক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগ একাংশের সভাপতি মো. তুহিন (২৩), যুবলীগ নেতা গাজী রবিউল আউয়াল (২২), কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের সমর্থক চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ একাংশের সভাপতি শেখ সজিব (২০), নূর মোহাম্মদ (২৩), শাওন (১৮) মো. মহিউদ্দিন (১৮), মেহেদী হাসান (১৮), শাহাদাত হোসেন (২০), শাওন (১৮) ।
আহতরা কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে তুহিন ও রবিউলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
আহত ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের একাংশের সভাপতি মো. তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক শাকিলের নেতৃত্বে একটি মিছিল ক্যাম্পাস থেকে কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের বিশ্বরোডস্থ অফিসের সামনে এসে উশৃংখল বক্তব্য দিলে উক্ত স্থানে পূর্বে অবস্থান নেওয়া চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের সভাপতি শেখ সজিব ও সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ সহ অনান্য নেতাকর্মীদের সাথে বাগবিতান্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে চাঁদুপরের সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. আবুল কালাম চৌধুরী ও কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাছেম বিল্যাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সংঘর্ষে আহত পলিটেকনিক ছাত্রলীগ সভাপতি তুহিন দাবি করেন, আমাদের মিছিলটি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের অফিসের সামনে আসলে ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মিছিলের উপর হামলা করা হয়।
তাদের প্রতিপক্ষ অপর গ্রুপের সভাপতি শেখ সজিব ও সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ দাবি করেন, কথিত ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কচুয়ার সিনিয়র নেতাদের নামে উশৃংখল বক্তব্য প্রদান করে এবং ঘটনার স্থলে অবস্থান নেওয়া আমাদের ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি। তাদেরকে নিভৃত করার সময় আমিও হাতে ব্যথা পাই।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন বলেন, পলিটেকনিক ছাত্রলীগের কমিটি সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রলীগের দু’প্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।