প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২২, ২০:৪০
অল্পের জন্য বড় ধরণের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা
সরকারি হাসপাতালের কেএমসি সেন্টারের ছাদ ধ্বসে মা ও নবজাতক আহত
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ৩য় তলার শিশু ওয়ার্ডের কেএমসি কর্নারের ছাদ ধসে মাসহ নবজাতক গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় শিশুদের কেএমসি কর্ণারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেল মা ও নবজাতক।
|আরো খবর
আহত তাসলিমা (২০) চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরাক্কাবাদ গ্রামের রায়েস সরদারের স্ত্রী। এ ঘটনায় আহত হয় সদ্য নবজাতকের মা তাসলিমা আক্তার। তাঁর মাথা ও মুখের ডানপাশ পুরো ছেছড়া হয়ে পুরো গালের চামড়া উঠে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ প্রসব ব্যাথা নিয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তাসলিমা । নবজাতক জন্ম নেওয়ার পর তাদেরকে শিশু ওয়ার্ডের কেএমসি কর্ণারে আলাদাভাবে রাখা হয়। হঠাৎ সন্ধ্যায় ওয়ার্ডের একপাশের অথ্যাৎ হাসপাতালের ৩য় তলার ছাদ ধসে কেএমসি কর্নারের সিলিং ভেঙ্গে মা ও নবজাতকের গায়ে পড়ে। তবে নবজাতকের শরীরে বড় ধরনের আঘাত না পেলেও নব জাতকের মা মারাত্মক আহত হন।
এদিকে দূর্ঘটনাটি সন্দ্ব্যা ৬ টার দিকে হলেও রাত ৮ টা পর্যন্ত অথ্যাৎ ২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের কতৃপক্ষ রোগী ও দূর্ঘটনাস্হলে যায়নি বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তও্বাবাধয়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয় টা দেখবো। কিন্তু রোগীর চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে গণপূর্ত বিভাগের একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, এই ঘটনা বিষয়ে আমরা শুনেছি, তবে কেএমসি কর্নার কাজটি একটি এনজিও সংস্থা করেছে। কাজটি করার সময় আমাদের কে জানানো হয়নি। আমরা জানলে এভাবে কাজটি করতে দেওয়া হতো না। তাহলে এমন দূর্ঘটনার আশংকা থাকতো না।
এদিকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ৮টায় হাসপাতালের তও্বাবাধয়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ সাজেদা পলিন, আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল, গণপূর্ত অধিদফতর চাঁদপুরের কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থলে ও রোগীকে দেখতে যান।