শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২০ জুন ২০২১, ১০:৪৬

৭০০ মিটার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায়

কাজী শাহাদাত
৭০০ মিটার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায়

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত এককালের বৃহত্তম ইউনিয়ন ছিলো রাজারগাঁও। পরবর্তীতে এ ইউনিয়নটিকে দু ভাগে ভাগ করা হয়, এক ভাগের নাম হয় উত্তর রাজারগাঁও এবং অপর ভাগের নাম হয় দক্ষিণ রাজারগাঁও। দক্ষিণ রাজারগাঁওয়ের নাম পাল্টিয়ে যখন বাকিলা করা হয়, তখন উত্তর রাজারগাঁও হয়ে যায় কেবলই ‘রাজারগাঁও’। এককালের বৃহত্তম রাজারগাঁও ইউনিয়নে সর্বশেষ হাত পড়ে দ্বাদশগ্রাম নামে নূতন একটি ইউনিয়ন করতে গিয়ে। রাজারগাঁও, বাকিলা ও দক্ষিণ কালচোঁ ইউনিয়ন থেকে গ্রাম কেটে নিয়ে করা হয় এই নূতন ইউনিয়ন। বর্তমানে কেটেছেঁটে বিদ্যমান যে রাজারগাঁও ইউনিয়ন, সেখানে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে যাওয়ার একাধিক পথ রয়েছে। বাকিলা ও দেবপুর দিয়ে রাজারগাঁও যাতায়াতে অনেক বেশি পথ কিংবা ঘুরপথ পাড়ি দিতে হয়। সেজন্যে উক্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে রাজারগাঁও যাতায়াতে সংক্ষিপ্ত পথ হিসেবে সকলের পছন্দ মহামায়া-রাজারগাঁও সড়ক। চাঁদপুর সদর উপজেলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বাজার হচ্ছে মহামায়া। এখানে নির্দিষ্ট বিরতিসম্পন্ন দ্রুতগামী ও বিলাসবহুল বাসগুলো থামে এবং এ বাজারের সামান্য দূরে অবস্থিত মধুরোড স্টেশন, যেখানে রেলওয়ের আন্তঃনগর ও এক্সপ্রেস বা মেইল ট্রেনগুলো থামে। চতুর্মুখী যাতায়াতে গণপরিবহনে ভ্রমণের সুবিধা নিশ্চিত করতে রাজারগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দাদের প্রথম পছন্দ মহামায়া-রাজারগাঁও সড়ক। কিন্তু হায়! ২৫ বছরেও এই ৭কিলোমিটার রাস্তার পাকাকরণ শেষ হয়নি।

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের ১ম পৃষ্ঠায় ব্যানার হেডিং হয়েছে এই রাস্তাটি। চাঁদপুর কণ্ঠের রাজারগাঁও প্রতিনিধি আলমগীর কবির রাস্তাটি সম্পর্কে লিখেছেন যেনো এক করুণ গাঁথা। তিনি লিখেছেন, চাঁদপুর জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম-উত্তরাঞ্চলের মানুষের একমাত্র সংক্ষিপ্ত পথ মহামায়া-রাজারগাঁও রাস্তা। কিন্তু রাস্তার কিছু অংশ কাঁচা হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে কাদাযুক্ত হয়ে যানবাহন চলা তো দূরের কথা, মানুষ পায়ে হেঁটে পর্যন্ত চলাচল করতে পারে না। এ রাস্তাটি চাঁদপুর সদর, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সীমানা এলাকায় অবস্থিত। গত ২৫ বছর ধরে এ রাস্তাটির পাকাকরণ হয়েছে প্রায় ৯০ ভাগ। তিন উপজেলার অংশের মধ্যে চাঁদপুর সদর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার অংশ পাকাকরণ হয়েছে। আর হাজীগঞ্জ উপজেলার অংশের ১৭০০মিটার রাস্তার মধ্যে ১০০০ মিটার অর্থাৎ ১ কিলোমিটার পাকাকরণ হলেও ৭০০ মিটার আর হয়নি। এজন্যেই যতো ভোগান্তি। রাজারগাঁওয়ে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যথাসময়ে যেতে পারে না এই ৭০০মিটার কাঁচা থাকার কারণে।

রাজারগাঁওবাসী এই ৭০০মিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণসহ মহামায়া-রাজারগাঁও রাস্তাটির ব্যাপক সংস্কারে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার এমপি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের আন্তরিক সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। আমরা মনে করি, এটি তাঁর জন্যে ছোট্ট একটি কাজ। কেননা তিনি কেবল আন্তঃউপজেলা, আন্তঃজেলা সড়কই নয়, ডাকাতিয়া নদীর ওপর বহু সেতু নির্মাণে সবচে’ পারঙ্গম ব্যক্তি। আমাদের বিশ^াস, এমপি মহোদয় চলমান করোনাকালে মহামায়া-রাজারগাঁও সড়কটি সরেজমিনে দেখতে আসতে না পারলে তাঁকে পেপার বা পেপার কাটিং পাঠালে, নয়তো ভিডিও পাঠালে তিনি ঠিকই জনদুর্ভোগ উপলব্ধি করবেন এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণে সক্ষম হবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়