বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২২, ১৮:০৩

মাকে গলা কেটে খুন, সহকর্মীসহ নিহতের মেয়ে গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
মাকে গলা কেটে খুন, সহকর্মীসহ নিহতের মেয়ে গ্রেফতার

গাজীপুরের শ্রীপুরে উইলের জমি বিক্রি করতে রাজী না হওয়ায় এক নারীকে গলা কেটে খুন করেছে তার মেয়ে ও সহকর্মী (মেয়ের)। ক্লুলেস এ ঘটনার তিন সপ্তাহের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত নিহতের একমাত্র মেয়ে ও তার সহকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। এসময় শ্রীপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই মো: আমজাদ শেখ উপস্থিত ছিলেন।

নিহত মিনারা বেগম (৫৭) শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী। গ্রেফতারকৃত শেফালী (৩৫) নিহতের একমাত্র সন্তান এবং শেফালীর সহকর্মী সোহেল রানা (২৫) শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার খড়িয়াকাজিরচর গ্রামের মেরাজ উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা শ্রীপুরের বিজিবেড গার্মেন্টসের কর্মী।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ভিটিপাড়া গ্রামের সাধুখার টেক এলাকার গভীর জঙ্গল থেকে অজ্ঞাত এক নারীর (৫৭) গলকাটা লাশ উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, সিআইডি ও পিবিআই’র এর বিশেষজ্ঞ দল নিহতের পরিচয় সনাক্ত করণে ব্যার্থ হয়। ক্লুলেস এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ বিভিন্ন আঙ্গিকে তদন্ত শুরু করে। এদিকে সম্প্রতি দেলোয়ারা বেগম নামে এক নারী তার ছোট বোন মিনারা বেগমের নিখোঁজের বিষয়ে অভিযোগ করতে থানায় আসেন। নিখোঁজ মিনারার ছবির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত ওই নারীর লাশের ছবির ছবির মিল পান দেলোয়ারা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমজাদ। অজ্ঞাত ওই লাশের পরিচয় সনাক্ত তথ্যানুসন্ধানের পর পুলিশ বুধবার প্রথমে নিহতের জামাতা ফরিদকে ও পরে শেফালীকে পরদিন সোহেল রানাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা মিনারাকে হত্যার কথা স্বীকার করে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের পাশের একটি পুকুর থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়