প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২১:২৯
দীপু মনিরা উঠে আসে স্বমহিমায়
রাজনীতি যদি মানুষের কল্যাণের জন্য হয় তবে এমন রাজনীতি করা মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করা মানুষের সংখ্যা কতজন ? রাজনীতি করতে হলে , মানুষের মনের গহীনে আসন করে নিতে হলে নিজস্ব সকীয়তা দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার মধ্যেই নিজেকে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তুলে ধরা যায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা এমন রাজনীতি করা মানুষগুলোকেই তুলে এনে স্থান করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। বঙ্গবন্ধু যেমন চিনে নিয়েছিলেন জাতীয় চার নেতাকে তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যাও কয়েকজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করা মানুষকে সাহচার্যে রেখেছেন।
|আরো খবর
সহনশীলতা , ঔদার্য , বিনয়াবনতা, ভদ্রতা একজন মানুষকে নিয়ে যেতে পারে রাজনীতির শিখরে। দীপু মনি তাদেরই একজন। অনেক সময় অবাক বিস্ময়ে ভাবি একজন রাজনীতিবিদ কতটুকু মার্জিত রুচী , ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ সম্পন্ন এবং বিনয়ী হতে পারে। কিভাবে মানুষকে আপন করে নিতে হয় , কিভাবে মানুষকে মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করতে হয় দীপু মনির কাছে তা শিখতে হয়। প্রতিনিয়ত শিখছি ঔদার্যতা দিয়ে কিভাবে মানুষকে আপন করে নেয়া যায়। ন্যায় নীতির মধ্যে থেকে কিভাবে রাজনীতি করা যায়। চরম সংকটেও কিভাবে নিজেকে বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি অবিচল থাকতে হয়। তাইতো তিনি দীপু মনি। আমাদের চাঁদপুরের অহংকার ।
একটি রাজনৈতিক পরিবারের জন্ম নিয়ে রাজনীতিকেই পাথেয় করে নিয়েছেন। নিজেকে সপে দিয়েছেন মানুষের কল্যাণে। বাবা এম এ ওয়াদুদ । একজন ভাষাবীর , মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক , সাংবাদিক। বাংলাভাষা , স্বাধীকার ও জনগনের সার্বিক মুক্তির আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কর্মাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার কারণে কারাবরণ করেন।১৯৪৭ থেকে ১৯৮৩ সালে মৃত্যুবরণ পর্যন্ত বাংলা ভাষা , স্বাধীকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সকল আন্দোলনের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর। মা রহিমা ওয়াদুদ অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এম বি বি এস ( ডিএমসি) , এল এল বি ( এন ইউ) পি এইচ ( জন্স হপকিন্স) দ্বন্দ নিরসন , মধ্যস্থতা ও সমঝোতা বিষয়ে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ কোর্স সম্পন্ন করেছেন।পেশাগতভাবে তিনি রাজনীতিবিদ , আইনজীবী , জনস্বাস্থ্য পেশাজীবী ও চিকিৎসক।
রাজনৈতিক যোগ্যতা : শিক্ষা মন্ত্রী , সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী , গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংসদ সদস্য (২৬২) , চাঁদপুর -৩ , সভাপতি : স্থানীয় সরকার নির্বাচনী মনোনয়ন বোর্ড। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপাত্র। ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
সাংগঠনিক দক্ষতা
চেয়ারপার্সন , আইপিইউ ফোরাম অব উইমেন পার্লামেন্টেরিয়ান্স
সিনেট সদস্য , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
চেয়ারপার্সন , বোড অব ট্রাস্টি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন , চট্টগ্রাম।
ডা. দীপু মনি প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি এবং নীতি নির্ধারনী প্রক্রিয়ায় নারীদের সম্পৃক্ততায় একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাসী।
আওয়ামী লীগের নারী কর্মীদের প্রশিক্ষণ কাযক্রমের উদ্যোক্তা ও মাস্টার ট্রেনার।
ডিএমসি এর সন্ধানীর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি।
কেন্দ্রীয় সন্ধানীর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক।
ডা দীপু মনির যত সাফল্য
ক) ভারত এবং মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা জয়ে গুরুত্বপূণ ভূমিকা রাখেন
খ) বাংলাদেশ ভারতের ল্যান্ড বাউন্ডারী নির্ধারণে ভূমিকা রাখেন।
গ) বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বহিঃবিশ্বে গতিশীল করতে ভূমিকার রাখেন।
ঘ) ডা দীপু মনি (Commonwealth Ministerial Action Group (CMAG) এর প্রথম মহিলা এবং দক্ষিণ এশীয় চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়ে দেশের জন্য অনন্য সম্মান বয়ে আনেন।
ঙ) সৌদি আরবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ইকামা পরিবর্তনের সুযোগ পুনরায় চালু করায় নিরলস ভূমিকা রাখেন।
চ)মালয়েশিয়ায় ২লক্ষ ৬৮ হাজার শ্রমিককে বৈধকরণ করায় ভূমিকা রাখেন।
ছ) ডা. দীপু মনির নির্বাচনী এলাকার জনগনের সাথে তাঁর রয়েছে নিবীড় সম্পর্ক। তাঁর সহজাত বাচনভঙ্গি এবং আচরণ দিয়ে মানুষের মন জয় করার এক বিরণ ব্যক্তিত্ব দীপু মনি।
জ) তৃনমলের নেতা কর্মীদের সাথে তাঁর রয়েছে নাড়ীর সম্পর্ক। নেতা কর্মীদের কাছে তিনি আইডল হিসেবে পরিচিত।
ঝ) সবসময়ই সুবিধাবাদী , স্বার্থান্বেষীদের তিনি এড়িয়ে চলেন।
ঞ) তিনি কাউকে কোন অবৈধ সুযোগ বা সুবিধা দেয়ার পক্ষপাতি নন।
U) খন্ডকালীন শিক্ষক IUB , PATC তে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়মিত অংশগ্রহণ , এবং NDC তে নিয়মিত লেকচার প্রদাণ করছেন।
সূত্র : অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদারের ফেসবুক।