প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:৩১
ইতালি সরকার ৮০ হাজার শ্রমিক নেবে
ইতালি সরকার আশি হাজার শ্রমিক নেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। ইতোমধ্যে স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২২ সালের জন্য
|আরো খবর
জানা গেছে,চলতি মাসে বড় দিনের আগে ২০২২ এর স্পন্সরটি মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদন পেতে পারে। মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদন পেলে নিয়মগুলো পরিস্কার বুঝা যাবে এবং বাংলাদেশিদের কোটা থাকবে কিনা সেটাও জানা যাবে। এর আগে এরকম স্পন্সর চলমান ছিল দীর্ঘ কয়েক বছর পর আবার সরকার এটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যেসব খাতে আশি হাজার শ্রমিক ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে এরমধ্যে পর্যটন, কৃষি,ভারি পরিবহন,এবং উৎপাদন। স্থায়ী ও স্থায়ীভাবে এসব শ্রমিকরা বৈধভাবে প্রবেশ করার সুযোগ পাবে।
তবে বিশ্বের কয়েকটি দেশের নাম চুড়ান্ত করা হলেও বাংলাদেশের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সেজন্য বাংলাদেশিদের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সম্প্রতিকালে ইতালির স্বরাষ্ট্র ও পরিবহন মন্ত্রীরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন। এ বিষয়ে কথা হলে ইমিগ্রেশন পরামর্শক এড.আনিচুজ্জামান আনিস বলেন,এ স্পন্সরটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর কারন দীর্ঘ প্রায় চার বছর পর এ প্রক্রিয়াটি চালু করতে যাচ্ছে ইতালি সরকার। এ প্রক্রিয়াতে বাংলাদেশিরা সহজে বৈধভাবে ইত্যাদি প্রবেশ করার সুযোগ পাবে। এর আগে ৩০ হাজার ৮শত পঞ্চাশ জন শ্রমিক নেওয়ার গেজেট প্রকাশ করে ইতালি সরকার।
এ ব্যাপারে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হক বলেন,ইতালির বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্পন্সরে আশি হাজারশ্রমিক নেবার ব্যাপারে ইতালির সরকারের প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশিদের কোটা থাকবে। তবে গেজেট প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোন নিয়মে বাংলাদেশি শ্রমিকরা আসতে পারবে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন,এ বছর বাংলাদেশিদের কোটা থাকবে এটি গত জুলাই মাসে একটি বৈঠকে স্পন্সরে শ্রমিক নেবার বিষয়ে আমাদের সাথে কথা হয়েছে।
তবে ২০১৭ ইউরোপ ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশ সরকারের এসওপিও চুক্তি হয়। স্ট্যান্ডার অপারেটিং প্রসেডিওর ফর রিটার্ন অব ইরেগুলার বাংলাদেশি ন্যাশনাল লিভিং ইন ইউরোপ নামে এ চুক্তির আওতায় যেসব বাংলাদেশি অনিয়মিতভাবে ইতালিতে বসবাস করছেন তাদের ব্যাপারে ইতালি সরকার অবৈধদের দেশে পাঠানোর জন্য যে অনুরোধলিপি দিবে এ ব্যাপারে রোম বাংলাদেশ দূতাবাস কিভাবে সেটা দেখে তার উপর নির্ভর করে আগামী স্পন্সরে বাংলাদেশিদের কোটা।