প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুরের কৃতী সন্তান, বরেণ্য নজরুল গবেষক
অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের চিরপ্রস্থান
বাংলা একাডেমির সভাপতি, বরেণ্য নজরুল গবেষক, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম আর নেই (ইন্নালিল্লাহে...রাজিউন)। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বেলা আড়াইটায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালের ডিউটি অফিসার অভিজিৎ রায় এবং অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের ছেলে বর্ষণ ইসলামের বন্ধু ইফতেখার করিম মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
|আরো খবর
৮৭ বছর বয়সী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম পেটে ব্যথা নিয়ে গত ৭ অক্টোবর ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর ফুসফুসে পানি জমার বিষয়টি ধরা পড়ে। তখন থেকে বিএসএমএমইউর বক্ষব্যাধি (রেসপিরেটরি মেডিসিন) বিভাগের অধ্যাপক একেএম মোশাররফ হোসেনের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছিলো। পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভারতে নিয়ে যেতে চাইলেও রফিকুল ইসলাম তাতে সায় দেননি।
এভারকেয়ারের ডিউটি অফিসার অভিজিৎ রায় জানান, ২১ নভেম্বর অধ্যাপক রফিকুল ইসলামকে বিএসএমএমইউ থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে নেয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
রফিকুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম নজরুল অধ্যাপক ও নজরুল গবেষণাকেন্দ্রের প্রথম পরিচালক ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা রফিকুল ইসলাম সেই সময়ের দুর্লভ আলোকচিত্রও ধারণ করেছিলেন। তিনি অন্তত ৩০টি গ্রন্থের রচয়িতা।
রফিকুল ইসলাম বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের উপাচার্যের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০১৮ সালে তিনি জাতীয় অধ্যাপক হন। শিক্ষা, সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্যে স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক পেয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের ১৮ মে সরকার তাঁকে তিন বছরের জন্যে বাংলা একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব দেয়।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ১৯৩৪ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
তথ্যসূত্র : প্রথম আলো।