প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৪
আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পাশে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ
দোষীদের শাস্তি ও শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান
ঢাকা, ১২ অক্টোবর — কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থানরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের গণআন্দোলনের ওপর দলের পক্ষ থেকে সমর্থন জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। আন্দোলনকারীদের উপর হামলা ও পুলিশের কড়া বাধার ঘটনাকে নিন্দনীয় বলে অভিহিত করে তিনি দোষীদের দ্রুত ক্ষমা চাওয়া ও সরকারের প্রতি সুবিচারের দাবি জানান।
|আরো খবর
আজকের কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় একযোগে আন্দোলন ও সমাবেশ করেছে। সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবরোধ ও পরে পুলিশি হস্তক্ষেপের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি জানায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “শিক্ষক—কর্মচারীরা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার রক্ষক। তাদের যৌক্তিক চাহিদি মেনে নিতে না পারা ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে লাঠিচার্জ কিংবা অমানবিক আচরণ কোনো সভ্য রাষ্ট্রেই গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি আরও বলেন, “দোষীদের দ্রুত শাস্তি ও আহতদের খোঁজখবর নেওয়া হোক।”
স্থানীয় পর্যায়ে এনসিপি নেতারা আন্দোলনস্থলে উপস্থিত থেকে জানান, প্রয়োজন হলে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হবে; কিন্তু সরকার যদি অগ্রাহ্য করে এবং শিক্ষক সমাজের উপর অন্যায় হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি বিবেচনা করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন। একই সঙ্গে তারা আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
পটভূমি: হাসনাত আবদুল্লাহ ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সক্রিয় ছিলেন এবং পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা এক নেতৃত্ব হিসেবে তাঁর উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক কার্যক্রম সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত আলোচিত হচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের দাবি ও এনসিপি নেতাদের সমর্থনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকার যদি দ্রুত কোনো ইতিবাচক ঘোষণা না দেয়, তাহলে আন্দোলন আরও তীব্র রূপ নেবে—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা বলেন, “আমাদের মৌলিক আর্থিক নিরাপত্তা ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের দাবিই এখন জাতীয় দাবি।”
ডিসিকে / এমজেডএইচ