প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৫, ০০:৪৩
আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

আজ ২৬ মার্চ বুধবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন আজকের দিনটি। ১৯৭১ সালের এ দিনে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। এ দিনটি বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচে’ গুরুত্বপূর্ণ দিন।
এ দিনটি আসলেই বাঙালির মনে পড়ে যায় নিরস্ত্র বাঙালির ওপর পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের সেই বর্বর কাহিনীর কথা। একই সাথে বাঙালির বীরত্বের ইতিহাসের কথাও মনে পড়ে যায়। এদিন বাঙালি জাতি বিনম্র শ্রদ্ধায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে থাকে এবং একই সাথে শপথ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসকে ঘিরে প্রতি বছরই সরকারিভাবে নানা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে। এবারো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে এ গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এইদিনে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল মহান স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়েছিল। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তির সংগ্রামের পথ বেয়ে অনেক রক্ত আর ত্যাগ তিতীক্ষার বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে পরম কাক্সিক্ষত স্বাধীন ভূ-খণ্ড, স্বতন্ত্র পতাকা ও জাতিসত্তার পরিচিতি। স্বাধীনতার এই দিনটিকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ ও আমাদের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, জীবন উৎসর্গকারী ও যুদ্ধাহত বীর সন্তানদের এবং যে সকল মা-বোনদের যাদের সম্ভ্রম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ হোক ৫৫তম মহান স্বাধীনতা জাতীয় দিবসের অঙ্গীকার।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন নিম্নে উল্লেখিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জেলা প্রশাসনের গৃহীত সকল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ মার্চ রাত বারোটা এক মিনিটে একত্রিশ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ-সূচনা। ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন সমূহে যথাযথ মর্যাদার সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। ভোর পাঁচটা ৫৬ মিনিটের পর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে চাঁদপুর স্বাধীনতা ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকার’ পাদদেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই সরকারি-বেসরকারি সব ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৮টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ।
এছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন রঙের পতাকা দ্বারা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সজ্জিত করা হবে। সকাল ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, স্থান চাঁদপুর ক্লাব মিলনায়তন। দুপুর বারোটা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কয়লাঘাটস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ জনসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা। বাদ আসর সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও দেশের অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত বা প্রার্থনা। এছাড়া সকল হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু পরিবার এবং বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট ভবনের আলোকসজ্জা করা হবে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ চাঁদপুরের সকল সুধী সমাজের ব্যক্তিবর্গ এতে উপস্থিত থাকবেন।
উক্ত কর্মসূচিতে সবার উপস্থিতি কামনা করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসিন উদ্দিন।
জেলা বিএনপির কর্মসূচি
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছেÑভোর সাড়ে ছয়টায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৯টায় স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য র্যালি শহরে বের করা হবে। এরপর চাঁদপুর স্বাধীনতা ভাস্কর্য অঙ্গীকার পাদদেশে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে চাঁদপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল দশটায় হাসান আলী হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে চাঁদপুর জেলা বিএনপির আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ে নেতা-কর্মীকে এবং সর্বস্তরের জনগণকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্যাহ সেলিম।