সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৩৯

বান্দরবানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও উপহারসামগ্রী বিতরণ

অনলাইন ডেস্ক
বান্দরবানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও উপহারসামগ্রী বিতরণ

বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় বড়দিনের উপহার ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করলো সেনাবাহিনী | প্রতিবেদক: মোঃ জাহিদুল ইসলাম খন্দকার সুমন

বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বড়দিন উপলক্ষে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা এবং খাদ্য ও উপহারসামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। রোববার ৯৭ পদাতিক ব্রিগেডের তত্ত্বাবধানে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বড়দিনকে সামনে রেখে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সেনা কর্মকর্তারা।

রুমা সেনা জোনের অধীনে ৩৮ বেঙ্গলের উদ্যোগে রোয়াংছড়ি উপজেলার ক্যাপলংপাড়া, দেবতা পাহাড় ও আশপাশের এলাকায় দিনব্যাপী চিকিৎসাশিবিরের আয়োজন করা হয়। এতে ৫০ জন নারী, ৩৯ জন শিশু ও ২০ জন পুরুষসহ মোট ১০৯ জনকে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়। চিকিৎসাশিবির পরিচালনা করেন ৩৮ ই বেঙ্গলের আরএমও ওমর ফারুকের নেতৃত্বাধীন চিকিৎসক দল।

এছাড়া রোয়াংছড়ির রৌনিনপাড়া, পাইক্ষ্যংপাড়া, খামতাংপাড়া ও ক্যাপলংপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বড়দিনের উপহারসামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপহারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী, চা, চিনি, লবণসহ প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়া হয়। স্থানীয়দের মধ্যে ৯৫ শতাংশ বম এবং ৫ শতাংশ খেয়াং জনগোষ্ঠীর সদস্য। এসব উপহার পেয়ে পাড়াবাসী আনন্দ প্রকাশ করেন।

রুমা উপজেলার জারুলিয়াছড়ি পাড়ায় ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের আওতায় থাকা সেনা সাব জোনের উদ্যোগে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বী ম্রো জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই কার্যক্রমের আওতায় প্রত্যেক পরিবারকে ৪০ কেজি চাল, ১০ কেজি ডাল, ১০ লিটার তেল, ১০ কেজি চিনি, ৫ কেজি চা–পাতা, ৫ কেজি লবণসহ প্রয়োজনীয় মসলা দেওয়া হয়।

জারুলিয়াছড়ি এলাকার কমিউনিটি ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পুরোহিত মেনপং ম্রো এবং স্থানীয় কার্বারী সিনচং ম্রো বলেন, “বড়দিন আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। সেনাবাহিনীর এই সহায়তার মাধ্যমে আমরা পরিবার নিয়ে আনন্দের সঙ্গে বড়দিন উদযাপন করতে পারব।”

সেনা কর্মকর্তারা বলেন, “শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনীর এ ধরনের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়