প্রকাশ : ২১ মে ২০২৪, ২১:২২
চাঁদপুরের তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যাঁরা
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির সুমন। হাজীগঞ্জ উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী। আর শাহরাস্তিতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মকবুল হোসেন পাটোয়ারী। রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ ২১ মে মঙ্গলবার রাতে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
|আরো খবর
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির সুমন। তিনি ৫০ হাজার ৪৯৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৩৫৩ ভোট। জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ১৫ হাজার ১৪২ ভোট।
হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনারস প্রতীকের মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী। তিনি পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৮৮ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের মোঃ জসিমউদ্দিন পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭০ ভোট। জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ১ হাজার ৫১৮ ভোট।
শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন ঘোড়া প্রতীকের মকবুল হোসেন পাটওয়ারী। ৩৩ হাজার ৬৭৯ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের ওমর ফারুক পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯৮ ভোট। জয়-পরাজয়ের ব্যবধান ৬ হাজার ৫৮১ ভোট। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা বশির আহমেদ পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ীদের নামও ঘোষণা করেন। এর আগে গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম মেশিনে চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়। তবে এই নির্বাচনে সাধারণ ভোটারের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য না থাকলেও প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল বেশ। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ফলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশের ১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়। বাকি ১৩২ উপজেলায় ভোট নেয়া হয় ব্যালট পেপারে।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে তিন পদে এক হাজার ৮২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্য চেয়ারম্যান পদে ৬০৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সেই সঙ্গে তিন পদে ২২ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। দুই উপজেলায় তিন পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন।
এবার দেশের ৪৯৬ উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা নির্বাচনে চার ধাপে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় তফসিল দিলেও নানা জটিলতায় গত ৮ মে ভোট হয় ১৩৯টিতে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ২৮ জন প্রার্থী (চেয়ারম্যান আট জন, সাধারণ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জন করে)। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।