প্রকাশ : ০১ মে ২০২৩, ১২:২৯
দুইমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরছে জেলেরা
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে পহেলা মে থেকে সবধরনের মাছ ধরা আবারো শুরু হয়েছে। মার্চ-এপ্রিল দুইমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয় রোববার ৩০ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টায়। এরপরই ইলিশসহ নদ-নদীর মাছ ধরতে নেমে পড়েন জেলেরা। ঝকঝকে রূপালি ইলিশে ভরে উঠবে নৌকা, এই আশায় জাল ও নৌকা নিয়ে অধিকাংশ জেলে এখন নদীতে।
|আরো খবর
চাঁদপুর জেলা মৎস্য দপ্তরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত দুই মাসে জাটকা রক্ষায় ৭৩৭টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ১৫৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ৩৮ মেট্রিক টন জাটকা জব্দ করা হয়। ৮০ লাখ মিটার জাল জব্দ করা হয় ও সাজা পান ৩৬৮ জেলে।
চাঁদপুরের হরিণা, বড়স্টেশন, পুরানবাজার, হাইমচর নদী তীরবর্তীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ ধরার জন্য জেলেরা জাল নৌকা মেরামত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ জাল বুনছেন, কেউ নৌকায় আলকাতরা লাগাচ্ছেন বা ট্রলার-নৌকা মেরামত করছেন।
তবে এবারও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহু জেলে নদীতে গেছেন এবং জাটকাসহ,ইলিশ, পোয়া,শিলং ও পাঙ্গাশের পোনা মাছ নিধন করেছে।বিপুল পরিমাণ জাটকা পাচারকালে জব্দও হয়েছে।
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মা নদীতে মাছ ধরা বন্ধের সময় ৫০ হাজার অধিক নিবন্ধিত জেলেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ভিজিএফের মাধ্যমে চাল দেয়া হয়। তবে নিবন্ধনবিহীন অনেক জেলে সরকারের খাদ্য সাহায্য থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আবার জেলে নয়, অন্য পেশার লোক তালিকায় তাদের নাম থাকায় তারাও চাল পেয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম বলেন , এবার অভিযান সফল হয়েছে। অভিযান সফল করতে যে সব বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছি তা পেয়েছি।
নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভিযানে সহস্রাধিক জেলেকে আটক হয়েছে। জাটকা রক্ষায় এবার বেশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে নৌ পুলিশের সঙ্গে নিয়ম ভেঙে মাছ ধরতে আসা জেলেদের যোগসাজশের কথা অস্বীকার করেন তিনি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, মাছ ধরতে এখন আর বাধা নেই। জেলেরা নদীতে মাছ ধরবেন। তবে কারেন্টজাল ও জাটকা ইলিশের ওপর জুন মাস পর্যন্ত অভিযান চলবে। আমরা আশা করছি এবার ইলিশের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে আরো বৃদ্ধি পাবে।