প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২১, ০০:২৬
ভোটার হলেই মিলবে টিকা
দেশের নাগরিকদের মধ্যে যারা ভোটার হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই টিকা দিতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন জাতীয় সুরক্ষা অ্যাপে। ২৪ জুলাই শনাবার ১৮ বছরের ওপরে সব নাগরিককেই টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ইতোমধ্যে সুরক্ষা অ্যাপকে ১৮ বছর পর্যন্ত টিকার রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করতে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
|আরো খবর
টিকা গ্রহণের সর্বনিম্ন বয়সসীমা আজ (২৪ এপ্রিল) থেকে ১৮ নির্ধারণ করা হলেও যেহেতু সুরক্ষা অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড নম্বর বাধ্যতামূলক এবং এখন পর্যন্ত ১৮ বছরের নিচে কেউ এনআইডি কার্ড হাতে পাননি তাই বলা যায় যারা ভোটার তারাই টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
শনিবার বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন এক ভার্চুয়াল সভায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোকে নির্বিঘ্ন রাখতে এবং অধিকাংশ নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে এখন থেকে ১৮ বছরের ওপরে দেশের সব নাগরিককেই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সরকারের আইসিটি বিভাগের আওতাধীন জাতীয় সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছরের ওপরে সব নাগরিক যেন রেজিস্ট্রেশন করতে পারে, সে বিষয়ে একটি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’ গত সপ্তাহের ১৯ জুলাই ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সীরা করোনা টিকা নিতে নিবন্ধন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। এর পূর্বে টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ছিল ৩৫ বছর।
৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এর পরের দিন করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করে সরকার। এর আগে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
বিদেশ থেকে টিকা আসার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের হাতে ১ কোটির উপরে ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই আরও দুই কোটি ভ্যাকসিন সরকারের হাতে চলে আসবে। এভাবে চীন থেকে ৩ কোটি, রাশিয়া থেকে ৭ কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসন এর ৭ কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ভ্যাকসিনসহ আগামী বছরের শুরুর দিকের মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আশা করা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই দেশের অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবে সরকার।’