প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২১, ১২:০৩
কেরানীগঞ্জে মসজিদে মসজিদে পুলিশ!
কেরানীগঞ্জে মসজিদে মসজিদে পুলিশের ভিড়। এক মসজিদে নূন্যতম একজন করে পুলি যাচ্ছেন। তবে কোন মুসল্লী আটক বা কাউকে ভয় দেখাতে নয় বরং মুসল্লীদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে সর্বস্তরের মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে উদ্বুদ্ধ করতে পুলিশ সদস্যদের এ উদ্যোগ।
আসন্ন ঈদুল আজহায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে পুলিশ। তারই একটি অংশ কেরানীগঞ্জ পুলিশের এ কার্যক্রম।
বিশ্বে চলমান মহামারি করোনা প্রতিরোধে নিজেকে সুরক্ষা রখার জন্য সবাইকে মাক্স পড়া ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার আহবান জানান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া পিপিএম ১৬ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজ আদায় করেন জিনজিরা ইউনিয়নের আমিরাবাগ জামে মসজিদে।
আবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালম আজাদ জুমার নামাজ আদায় করেন শুভাঢ্যা ইউনিয়নের কলিগঞ্জ বড় মসজিদে।
মহামারি করোনায় সবাইকে মাক্স পড়ার আহবান জানিয়ে ওসিদ্বয় বলেন, আপনারা নিজেরা বাঁচুন পরিবারকেও বাঁচান। মাহামারি করোনায় কে কি অবস্থায় থাকব কেউ বলতে পারছি না। তাই আমরা যদি ঘর থেকে বের হওয়ার সময় নিজে সচেতন হই তাহলে সমাজও সচেতন হবে আর পরিবেশ ভালো থাকবে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমরা সম্মিলিতভাবে কোরবানির হাটে যাবো, কোরবানির পশু ক্রয় করব। এখানে যদি আমি সচেতন না হয়ে যাই, আমার অসুখ হতে পারে, হতে পারে করোনা। আর করোনা হলে থাকতে হবে এক ঘরে বন্দি। কেউ কক্ষে আসবে না কেউ পাশে থাকবে না। স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা কেউ পাশে রবে না। তখন শুধু মনে হবে এখন যদি আমি মরে যাই আমার পরিবার আমার লাশটি দেখতে পরবে না। আমার পরিবার আমার নামাজে জানাজাও দিতে পারবে না। আর মাক্স পড়ে যদি আমি সচেতন হয়ে থাকি তাহলে আল্লাহ তায়ালা যতক্ষণ আমার হায়াত রেখেছেন ততক্ষণ অন্তত ভালো থাকব। ওসিদ্বয় খুতবার আগে এ রকম বিভিন্ন উপদেশমূলক বক্তব্য রাখে মসজিদে।
কেরানীগঞ্জ পুলিশের এ উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। সকলে মনে করছেন পুলিশ যে জনতার বন্ধু তা এমন কার্যক্রমের মাধ্যমেই ফুটে ওঠে। ভয় বা আতঙ্ক নয় বরং ভালোবাসা দিয়ে পুলিশ জনতার সুসম্পর্কের মাধ্যমে মহামারি নিয়ন্ত্রন করতে চাচ্ছে কেরানীগঞ্জ পুলিশ।