প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২২, ১৭:৪৪
বঙ্গবন্ধুকে জানলেই জানা হবে বাংলাদেশকেঃএ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল এমপি
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো: তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারী/আধা সরকারী/ বেসরকারী/স্বায়ত্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পূষ্পাস্তবক অর্পণ, কুচকাওয়াজ ও সালাম গ্রহণ, শিশু-কিশোরদের শরীরচর্চা ও ডিসপ্লে, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচন।
|আরো খবর
শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসানের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন, আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুল এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. রুহুল আমিন ,ওসি মুহাম্মাদ শাহাজাহান কামাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মিয়া জাহাঙ্গীর, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান প্রধান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়া।
প্রধান অতিথির আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুল এমপি বলেন, এই দিনে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই সেই ব্যক্তিকে, যার আহ্বানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদেশের মুক্তিকামী জনতা। সেই শ্রেষ্ঠতম বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি আমাদের জাতির পিতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিয়ে গিয়েছেন। এই স্বাধীনতা তখনই অর্থবহ হয়ে উঠবে, যখন আমরা দেশের সবাই মিলে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবো। নিজ অবস্থানে থেকে দুর্নীতি মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে অবিচল থাকবো।
তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, একটি জাতি, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা। আমাদের স্বাধীনতা। কারণ বঙ্গবন্ধু না থাকলে দেশ স্বাধীন হতো না, আর দেশ স্বাধীন না হলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুকে ঘাতকরা হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে জানলেই জানা হবে বাংলাদেশকে। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দারিদ্র্যমুক্ত সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন,স্বাধীন বাংলাদেশ উপভোগ করছি। আমাদের নিম্ন আয়ের বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ে চলে গিয়েছে। আমরা স্বপ্ন দেখি, ২০৪১ সালের মধ্যে এটা উন্নত দেশে পরিণত হবে। আমরা সেই আশা ব্যক্ত করছি। আমরা তোমার (বঙ্গবন্ধু) আর্দশে চলবো।