সারাদেশে করোনায় ১৮৫ জনের মৃত্যু শনাক্ত ৮৭৭২ জন

সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট ১৬১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ৯ জুলাই সারাদেশে ২১২ জনের মৃত্যু হয়। যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। বৃহস্পতিবার ৮ জুলাই করোনায় ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়। তার আগের দিন বুধবার ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের। এছাড়া গত সপ্তাহের সোমবার ৫ জুলাই ১৬৪ ও মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ১৬৩ জন মারা যান। জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন ১৩০ জনের বেশি মানুষ।

নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৮৭৭২জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ লাখ ৯ হাজার ৩১৫ জন। গত বৃহস্পতিবার ১১৬৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যা একদিনে ছিল দেশে সর্বোচ্চ। তার আগে মঙ্গলবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৫২৫ জন শনাক্ত হন।

শনিবার ১০ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৬২৩৯ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৭৮৮৪টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৩১ হাজার ১৫২টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬৮ জন ১৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৮৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ৭০ জন। এছাড়া খুলনায় ৫১, চট্টগ্রামে ২০, রাজশাহীতে ১৩, বরিশালে ১০, সিলেটে ৭, রংপুরে ১১ এবং ময়মনসিংহে ৩ জন মারা গেছেন। মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২১ জন পুরুষ এবং ৬৪ জন নারী। এদের মধ্যে ১২ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৬ হাজার ১৮৯ জনের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৩৭৫ জন এবং নারী ৪ হাজার ৮১৪ জন।

করোনায় মারা যাওয়াদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৯২ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫১, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২২, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৩, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৫ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ১ জন রয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।