রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১০

ছোটভাইকে মাথা ফাটানোর অভিযোগ বড়ো ভাইয়ের বিরুদ্ধে

হাজীগঞ্জ ব্যুরো
ছোটভাইকে মাথা ফাটানোর অভিযোগ বড়ো ভাইয়ের বিরুদ্ধে

সহোদর ছোটভাই আব্দুস সামাদ খোকাকে মাথা ফাটানোসহ মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বড়ো ভাই আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। শনিবার (১ নভেম্বর ২০২৫) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়ালজোশ গ্রামের নতুন মসজিদ বাড়িতে। সরজমিনে গেলে স্থানীয় বহুজন জানান, হাজী আব্দুস সোবহান ও উলফতের নেছা দম্পতির তিন ছেলে। এর মধ্যে বড়ো ছেলে আব্দুর রহিম তার মা-বাবাকে হাত করে বেশ কিছু পারিবারিক সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেয়। এরপর থেকে ছোট দু ভাই আব্দুস সামাদ খোকা ও আবুল হাশেমকে বাড়িতে উঠতে দিচ্ছেন না।

জানা যায়, শনিবার ভাড়া বাড়ি থেকে ছোটভাই খোকা তার মা-বাবার সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে যান। তিনি বাবা-মায়ের সাথে কথা বলা অবস্থায় হঠাৎ করে পেছন দিক থেকে বড়োভাই আব্দুর রহিম তাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এ সময় পেছন দিকে ফিরে তাকালে বড়ো ভাই তার মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেন।

খোকা আরো জানান, আমি ১৯৯৭ সাল থেকে বাহরাইন প্রবাসী। কিছুদিন আগে একেবারে দেশে চলে আসি। নিজের উপার্জিত অর্থ ও সম্পদ ভাই এবং মা-বাবার হাতে দিয়েছিলাম। বিয়ের পরের বছর থেকে শ্বশুর বাড়িতে থাকতাম। এখন বাহরাইন থেকে দেশে একেবারে ফিরে এসেছি। কিন্তু ভাইয়ের এমন আচরণে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। বড়োভাই আমাদের ছোট দু ভাইকে বাড়িতে উঠতে দেন না। তিনি জোরপূর্বক পারিবারিক বাড়ি-ঘর ও সহায়-সম্পত্তি দখল করে আছেন। আমরা বাড়িতে গেলে তিনি আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা ও মারধর শুরু করেন। তার ভয়ে আমরাসহ এলাকার বহু মানুষ অতিষ্ঠ।

স্থানীয় বহুজনের অভিযোগ, আব্দুর রহিম এলাকায় মসজিদকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৫টির মতো মামলা দিয়েছেন। এসব মামলায় সামাজিকভাবে স্থানীয়রা প্রায় ২০ লাখ টাকার মতো খরচ বহন করেছেন। তার আচরণে ও অত্যাচারে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তিনি অসামাজিক লোক। যার কারণে তার সাথে এলাকার কারো সম্পর্ক নেই।

আব্দুর রহিম ও খোকার মা উলফতের নেছা বলেন, আমি আমার ছেলে (আব্দুস সামাদ খোকা)কে মেরেছি। কারো কিছু বলার আছে? আমার ছোট দু ছেলে? আমার কোনো খোঁজখবর তারা রাখে না। আগে আব্দুর রহিমকে ছোট ছেলে খোকা মেরেছিলো। তাই আজ খোকাকে তার বড়োভাই মেরেছে।

ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুর রহিমকে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে না পাওয়ায় এবং ফোন ব্যাক না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগকারীর বাবা-মায়ের সাথে কথা বলেছি। আহতকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়