প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৩১
মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বদনাম রটানোকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাংচুর

স্বর্ণের চেইন দেয়াকে কেন্দ্র করে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বদনাম রটানোর অভিযোগে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ ক'জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন জা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঘটনাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চরবড়ালি গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত প্রবাসী বাচ্চু গাজীর স্ত্রী রত্না বেগম ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
|আরো খবর
ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক জানান, সম্প্রতি তার মেয়েকে জামাতা একটি স্বর্ণের চেইন দেন। এই চেইনকে কেন্দ্র করে আমার ভাই দুলাল গাজীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম আমার বেয়াইনের কাছে নানা রকম কুৎসা ও বদনাম রটান। এই বিষয়ে আমার মেয়ে তার মাকে মুঠোফোনে জানায়। এরপর গত ১৭ অক্টোবর রাতে আমার স্ত্রী মিতু বেগম তার জা ফাতেমা বেগমকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করে। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফাতেমা, তার পুত্রবধূসহ লোকজন নিয়ে আমার স্ত্রীকে ঘরের সামনে বেদম মারধর করে। এ সময় আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রত্না বেগমের ওপরও তারা হামলা চালায়।
এরই মধ্যে আমার ভাই দুলাল ও তার ছেলেরা পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে আমাদের ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। তারা আমার ঘর ও ছোট ভাইয়ের ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করে। বাধা দিতে গেলে আমার ভাইয়ের স্ত্রী, আমার স্ত্রী, আমার ছেলে ও আমার ভাতিজিকেও বেদম মারধর করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। পরে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত রত্না বেগম জানান, ঘরের সামনে আমার এক জা ফাতেমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা আরেক জা মিতু বেগমকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা আমার ওপরও হামলা চালায়। এতে আমার হাত ভেঙ্গে যায়। হামলাকারীরা ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করেছে।
ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত মিতু বেগম জানান, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্বেও কিছুটা সমস্যা ছিলো, তবে কোনো ঝগড়াঝাটি হয়নি। কিন্তু আমার মেয়ের বাড়িতে কুৎসা রটানোর বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা আমাকে, আমার ছেলেকে, আমার জা ও তার মেয়েকে বেদম মারধর করে এবং বাড়ির আসবাবপত্র ও জানালা ভাংচুর করে।
অন্যদিকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দুলাল গাজীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম অভিযোগ করেন, তার জা মিতু বেগম ও তার ছেলে শিবলু তাকে বেদম মারধর করে। এক পর্যায়ে তার ছেলেরা এসে তাকে রক্ষা করে। তাদের সঙ্গে পূর্বেও নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিলো।