শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৫, ১৬:৪৫

টাকা আত্মসাত করতে অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোনকে হত্যা : গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি
টাকা আত্মসাত করতে অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোনকে হত্যা : গ্রেপ্তার ২

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় জমি বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করতে অন্তঃসত্ত্বা ছোট বোনকে হত্যার ঘটনায় দু আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১।

শুক্রবার (১৩ জুন ২০২৫) দুপুর পৌনে ১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু। এর আগে গত বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার কুকরাইলের মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মাকছুদা আক্তার মালা (৩২) উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চরমজিদ গ্রামের মো. হোসেনের স্ত্রী ও জাহানারা বেগম (৫৫) একই গ্রামের কেরামত আলীর মেয়ে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভিকটিম হালিমা খাতুন এজাহার নামীয় ১নং আসামি মো. হোসেনের (৪৯) ছোট বোন। ভিকটিম তার বড়োভাইয়ের থেকে পৈত্রিক বাড়ির সম্পত্তি ক্রয় করে লিখিত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ধাপে ধাপে টাকা পরিশোধ করে। গত ৫ মে বড়ো ভাইয়ের কথামতো ভিকটিম লিখিত স্ট্যাম্পটি ফেরত নেওয়ার জন্যে ভাইয়ের ভাড়া বাসায় যায়। সেখানে বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে বড়ো ভাই হোসেন, জাহানারা বেগম ও মালা পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের প্রদত্ত টাকাগুলো আত্মসাতের জন্যে ভিকটিমের হাত-পা ধরে রেখে মাথার বাম পাশে, চোখ, নাক ও বাম গালের উপর ইট দিয়ে গুরুতর জখম করে। ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করে। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় ৯ মে রাত ১০টার দিকে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভের শিশুসহ মৃত্যুবরণ করে।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু আরো বলেন, পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে সাতক্ষীরা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়